
হাতে টকটকে লাল চাদর আর ছোরা নিয়ে একা একাই অভ্যেস জিইয়ে রাখছেন বুলফাইটার জাভিয়ার কোন্দে। করোনার জেরে লকডাউনে বন্ধ স্পেনের বিখ্যাত বুলফাইট। কবে ফের তা চালু হবে, তা জানা যায়নি এখনও। তাও বকনা বাছুর দিয়েই প্র্যাকটিস চালাচ্ছেন তিনি, ষাড় নয়।
দক্ষিণ আন্দালুসিয়ার মন্তে দে ওসিয়ায় এভাবেই নিজেকে তৈরি রাখছেন জাভিয়ার। পাহাড়ের নীচে বালিভর্তি ছোট রিংয়ের মধ্যে তাঁর প্র্যাকটিসের সহ্গী আরও কয়েকজন। একজন বুলফাইটার আর এক ঘোড়সওয়ার পিকাদোর। যার হাতে থাকে বর্শা।
এই দুঃসময়ে মাথা নাড়েন জাভিয়ার, “খারাপ, খুবই খারাপ।” তাঁর স্ত্রী এস্ত্রেলা মোরেন্তে বিখ্যাত ফ্লেমেঙ্কো গায়িকা। মার্চে মাঝামাঝি যখন বুলফাইট বন্ধ হয়ে গেলো তখন নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা শুরু করেন জাভিয়ার। ঘরে বসে ছবি আঁকা, কাঠের কাজ সবকিছু। কঠিন সময়ের সঙ্গে তাঁর প্রতি মুহূর্তের লড়াই। এমন দুর্ভাগ্য কখনও আসেনি বুলফাইটারদের জীবনে। এবারের মতো আর বুলফাইট শুরু করার সম্ভাবনা নেই। নেই লাখ লাখ দর্শকভর্তি গ্যালারিতে ষাঁড়ের সঙ্গে তাঁদের লড়াই এখন আপাতত ইতিহাস।
বুলফাইটে কম করেও বছরে ব্যবসা হয় ৪৫০ কোটি ইউরোর। সরকার কিছুই করেনি তাদের জন্য। এমনিতেই বুলফাইট নিয়ে বিতর্ক কম নেই। পশুপ্রেমিরা বারবার আপত্তি তুলেছেন। কিন্তু অধিকাংশই স্পেনের এই প্রাচীন প্রথা বজায় রাখারই পক্ষেই। জাবিয়ার জানাচ্ছেন, জুলাই-আগস্টেও বুলফাইট চালু না হলে সামনে সর্বনাশ। ষাঁড়ডপালক, বুলফাইটার সবার জন্যই।
বুলফাইটারদের সংগঠন ইউসিটিএলের প্রধান আন্তোনিও বানুয়েলসের মতে, বুলফাইটের ইতিহাসে এমন বিপর্যয় আর আসেনি। শুধু যে আমদানি বন্ধ হবে তা নয়, ষাঁডের দেখভাল থেকে শুরু করে খরচ বাঁচাতে তাদের সংখ্যা কমাতে বাধ্য হবেন মালিকরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback