
বাসে যত আসন তত যাত্রী, এই নিয়মে রাজ্যে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে
রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ৪০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে লঞ্চ, ভেসেল।
সরকারি বাস অনেক রুটে চললেও খুব কম সংখ্যায় রাস্তায় নামছে বেসরকারি বাস।
তাই লকডাউন তোলার প্রথম ধাপেই (আনলক-ওয়ান) কলকাতা ও জেলায় জেলায় উপচে পড়ল
ভিড়। সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়ায় অফিসযাত্রীরা রাস্তায়
বেরিয়েছেন, কিন্তু বাস না পেয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। চলছে না লোকাল ট্রেন ও
মেট্রো। ফলে গণ পরিবহণে একমাত্র উপায় এখন বাস-অটো। ফলে অফিসমুখো ভিড়ের
দাপটে বাসের মধ্যে দূরত্ববিধি উঠেছে শিকেয়। আশঙ্কা বেড়েছে সংক্রমণের। ‘বাসে যত আসন তত যাত্রী’ নিয়ম মানার বালাই নেই, উল্টে দেখা যাচ্ছে পুরোনো
চিত্র। বাসগুলিতে বাদুরঝোলা ভিড় হচ্ছে। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি
যদিও আশ্বাসবানী শুনিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘ধীরে ধীরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
তবে মেট্রো ও লোকাল ট্রেন না চললে পুরো সমাধান হয়তো হবে না’। তিনি আরও
বলেছেন, ‘সোমবার বৃহত্তর কলকাতায় ৩৬০টি সরকারি বাস চালিয়েছি। বুধবারের
মধ্যে প্রায় ৬০০ বাস রাস্তায় নামবে। ৮ জুনের মধ্যে ১২০০ বাস রাস্তায়
নামাব। ১৭টি রুটের বেসরকারি বাসও চলাচল করছে’। সোমবারের মতো মঙ্গলবার শহরের পরিবহণ চিত্র আরও করুণ। উত্তরের এয়ারপোর্ট এক
নম্বর গেট থেকে শুরু করে ভিআইপি রোড, উল্টোডাঙ্গা হাডকো মোড়, নিউটাউন,
সেক্টর-ফাইভ, চিংড়িহাটা, শ্যামবাজার, ডানলপ মোড়ের মতো জায়গায় বাস ধরার
জন্য লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। একই চিত্র দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। বাস
কন্ডাক্টররা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হচ্ছে না, দাবি
বাসকর্মীদের। এক একটি বাস আসতেই কয়েকশো লোক ঝাঁপিয়ে পড়ছেন বাসের ওপর। ফলে
সেই বাদুরঝোলা ভিড় নিয়েই কার্যত ছুটতে হচ্ছে। সবচেয়ে করুণ অবস্থা কলকাতা
লাগোয়া জেলাগুলিতে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি, হাওড়া জেলা থেকে
কলকাতামুখী যে কয়েকটা বাস মিলছে সেগুলিও অপ্রতুল। ফলে বাসে উঠতে না পেরে
ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন অফিসযাত্রীরা। সময়মতো অফিস কীভাবে যাবেন সেই চিন্তায়
রাতের ঘুম উড়ছে অফিসযাত্রীদের। কোনও কোনও জায়গায় কাকভোড় থেকেই পড়ছে
বাসের জন্য লাইন। ফলে দূরত্ববিধি কার্যত শিকেয় উঠেছে। পুলিশও কার্যত
নাজেহাল ভিড় সামাল দিতে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback