বৈঠকের কয়েকঘন্টার মধ্যেই সীমান্তে সেনা মহড়া, দিল্লিকে কড়া বার্তা চিনের!


শনিবারই লাদাখের অ্যাকচুয়াল লাইন অফ কন্ট্রোল (LAC) নিয়ে বিবাদ মেটাতে দুদেশের শীর্ষ সেনা বৈঠক হয়। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও শুরু হয়েছে আলোচনা। কিন্তু এরমধ্যেই দিল্লিকে কড়া বার্তা দিল চিন। শীর্ষ সেনা বৈঠকের কয়েকঘন্টার মধ্যেই কয়েক হাজার সেনা সমাবেশ ঘটাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। প্যারাট্রুপ করেই দুর্গম ওই সমস্ত এলাকায় সেনা সমাবেশ করেছে চিন। প্রয়োজনে যাতে ভারী সামরিক যান ও ট্যাঙ্ক ওই এলাকায় পাঠানো যায় সেটা পরীক্ষা করতেই এই সেনা মহড়া বলে দাবি করেছে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, রবিবার ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় এই সেনা মহড়া চালিয়েছে পিএলএ। যাতে প্রয়োজন পড়লেই দ্রুত সীমান্ত এলাকায় ভারী যানবাহন সহ বিশাল সেনা জওয়ান পৌঁছে যেতে পারে সেটা দেখে নিতেই এই মহড়া। তবে কোন কোন এলাকায় চিন এই সেনা সমাবেশ ও মহড়া চালিয়েছে সেটা অবশ্য চিনের ওই দুই সরকারি সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেনি। অপরদিকে, ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে আরও আলোচনা চলবে। দ্রুত এই সমস্যা মিটবে না বলেই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
এরমধ্যেই চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই সামরিক মহড়ায় অসামরিক উড়ান সংস্থা, বাণিজ্যিক পরিবহণ ও রেলের সাহায্যে নিয়েছে চিন সরকার। চিনের হুবেই প্রদেশ থেকে পিএলএ ও চিনা বায়ুসেনার কয়েক হাজার প্যারাট্রুপারকে কয়েক হাজার কিমি দূরে দেশের উত্তর-পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের কোনও অজ্ঞাত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সেখানে পাঠানো হয়েছে বিপুল পরিমান সেনা ট্যাঙ্ক, ভারী সামরিক যানবাহন ও সামরিক রেশন। পাশাপাশি মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যেই এই বিপুল সেনা ও সাজ সরঞ্জাম নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছে বলেই দাবি চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমের। এর আগে ১৪ মে এই ধরণের সামরিক মহড়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবারই লাদাখে চিন সীমান্তে মালডো-তে ভারত ও চিনের শীর্ষস্তরের সেনা বৈঠক হয়। এই বৈঠকের কয়েকঘন্টার মধ্যেই বড়সড় সেনা মহড়া চালিয়ে চিন ভারতকে কড়া বার্তা দিল বলেই মনে করছেন সামরিক ও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার ভারত সরকার এই ব্যাপারে কি বার্তা দেয়।
(ফাইল চিত্র)

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post