
পাকিস্তানে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ওয়াং জিয়ানফেং (Wang Xianfeng)। তাঁরই একটি ট্যুইটবার্তায় ঝোলা থেকে বেড়িয়ে পড়ল বিড়াল। শুক্রবারই তিনি ট্যুইট করে বলেন, ‘কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারতের একতরফা পদক্ষেপগুলি চিন এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে এবং ভারত-পাকিস্তান ও চিন-ভারত সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে’। এই ট্যুইটের সঙ্গেই জিয়ানফেং জুড়ে দিয়েছেন, চিন ইনস্টিটিউটস অফ কনটেম্পরাপি ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস’-এর বিশেষজ্ঞ ওয়াং শিদার একটি নিবন্ধও। ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদের সঙ্গে কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তন বা ৩৭০ ধারা বিলোপের যোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই নিবন্ধে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গত বছর অগস্ট থেকে ‘লাগাতার একতরফা পদক্ষেপ’ করছে ভারত।
চিনের বিভিন্ন গোয়েন্দা এজেন্সির সূত্র উল্লেখ করে ওই নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তন করা নিয়ে ভারতের একটি সিদ্ধান্তে ‘আঞ্চলিক শান্তির ক্ষেত্রে বড়সড় সংকট তৈরি হয়েছে’। উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ ও জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে দুটি আলাদা কেন্দ্র শাসিত রাজ্যে পরিনত করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল বেজিং। বিশেষ করে লাদাখ নিয়ে সেসময় নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল বেজিং। ফলে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বেজিং লাদাখ নিয়ে প্রথম থেকেই গত আগষ্ট থেকেই অতি তৎপর। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগসূত্র বজায় রাখার দায়িত্ব করেন জিয়ানফেং। যিনি টুইটারে নিজেকে ইসলামাবাদে চিনা দূতাবাসের প্রেস অফিসার হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞমহল এটাও বলছেন, যদি এই চিনা কূটনৈতিকের ট্যুইটটি একান্ত নিজের মতামত হতেই পারে। তবুও এই প্রথম কোনও চিনা কূটনৈতিক ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদের জন্য কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে তুললেন।India’s actions of unilaterally changing the status quo of Kashmir and continuing to exacerbate regional tensions have posed a challenge to the sovereignty of China and Pakistan and made the India-Pakistan relations and China-India relations more complex.https://t.co/kGv3vdvyxk pic.twitter.com/2Xgio0L6xC— Wang Xianfeng王险峰 (@WangXianfeng8) June 11, 2020

Post a Comment
Thank You for your important feedback