আন্দোলনে জুনিয়ার ডাক্তাররা, ৭ ঘন্টা ঘেরাও সাগর দত্ত মেডিকেলের সুপার


সাগর দত্ত মেডিকেলে এখনও অব্যাহত অচলাবস্থা। শুক্রবার বিকেল থেকে প্রায় ৭ ঘন্টা সুপারিন্টেন্ড এবং এসিট্যান্ড সুপারকে ঘেরাও বিক্ষোভ দেখালো জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি নিয়ে বৈঠকে বসছেন, ততক্ষণ তারা এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজের সুপার পলাশ দাস সহ বেশ কয়েকজন ডাক্তারকে ঘেরাও করে রাখেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সঙ্গে পরবর্তী সময়ে যোগ দিয়েছেন হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীরাও। শেষ পর্যন্ত প্রায় মধ্যরাতে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলে ঘেরাও তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। সাগর দত্তে মেজিকেলে সমস্যার শুরু এই হাসপাতলকে কোভিড হাসপাতালে পরিনত করার ঘোষণার পর থেকে। কার্যত ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তাররা।
  
সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ওইদিন দুপুর থেকেই হাসপাতালের ইন্টার্ন এবং তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা কর্মবিরতি শুরু করেন। পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি, কোভিড হাসপাতালে পরিণত হলে, সাগর দত্ত হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা আপাতত বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে অস্ত্রোপচার থেকে অন্যান্য চিকিৎসাও এখানে হবেনা। সেটা হলে তাঁদের ক্লিনিক্যাল ক্লাসও বন্ধ হয়ে যাবে। এর প্রভাব পড়বে তাঁদের পড়াশোনায়। ফলে কোভিড হাসপাতাল ঘোষণার সিদ্ধান্তের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি জানায় পড়ুয়া ডাক্তাররা। শুক্রবার সকাল থেকেই এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। শুরু হয় সুপারের ঘরের সামনে ঘেরাও, যা গভীর রাত পর্যন্ত চলে। ক্ষোভ বিক্ষোভের জেরে কার্যত তিনদিন ধরে বন্ধ হাসপাতালের চিকিতসা পরিষেবা। অবশেষে আলোচনায় বসতে রাজি হয় রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। গভীর রাতেই ওঠে ঘেরাও। তবে শুধু ডাক্তারি পড়ুয়ারাই নয়, সাগর দত্ত মেডিকেলকে কোভিড হাসপাতালে পরিনত করার সিদ্ধান্ত ঘিরে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে এলাকার মানুষদের মধ্যেও। বিশেষ করে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে এই হাসপাতাল অনেকটাই সুবিধেজনক জায়গায় ছিল।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post