নজরে চিন, এবার অস্ট্রেলিয়ার নৌঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে ভারত


লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রনরেখা (LAC) চিনা সেনার আগ্রাসন টনক নড়িয়েছে ভারতের। এবার সব তরফেই চিনা আগ্রাসন রুখতে উদ্যোগী হল ভারত। ভারত মহাসাগরেও ক্রমশ চিনা নৌসেনার আনাগোনা বেড়েছে। সেটাও যথেষ্ঠ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের কাছে। চিন্তিত ছিল ভারত মহাসাগরের তীরের আরেক দেশ অস্ট্রেলিয়াও। এবার দুই বন্ধুরাষ্ট্র ভারত-অস্ট্রেলিয়া আরও কাছাকাছি এল। চিনা আগ্রাসন রুখতে দুই দেশ নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হল। এবার থেকে প্রয়োজনে দুই দেশ একে অপরের সেনা ও নৌঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। বৃহস্পতিবারই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে আলাপচারিতা করেন। এই ভার্চুয়াল সামিটেই স্বাক্ষরিত হল ঐতিহাসিক চুক্তি Mutual Logistics Support Agreement (MLSA)। এর ফলে ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে দু’দেশের মধ্যে সামরিক শক্তি বিনিময়ের পথ প্রশস্ত হয়ে গেল৷ চুক্তি অনুযায়ী এবার অস্ট্রেলিয়ার সেনাঘাঁটিগুলি ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাশাপাশি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে অবাধে পাড়ি দিতে পারবে ভারতীয় নৌবহর। সেদেশের নৌঘাঁটিতে নোঙর করতে পারবে ভারতের যুদ্ধজাহাজ। ফলে চিনা নৌবাহিনীকে এবার ফাঁদে ফেলে আটকে রাখতে সক্ষম হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনী। সামরিক বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করছেন এই চুক্তির নির্যাস থেকে। যা আগামীদিনে চিনা আগ্রাসনকে ঠেকাতে অনেকটাই সক্ষম হবে বলেও মনে করছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ভার্চুয়াল সামিটে অংশগ্রহণ করেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভার্চুয়াল সামিটের আয়োজন হয়েছে এবার। এই অভিনব উদ্যোগ নিয়ে উচ্ছ্বসিত দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই। এই চুক্তির বিয়য় উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি স্কট মরিসনের উদ্দেশ্যে একটি ট্যুইটও করেন। সেখানে তিনি এই ঐতিহাসিক চুক্তি প্রসঙ্গে খানিকটা জানিয়েছেন।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post