কেরলে গর্ভবতী হাতির ময়নাতদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, গ্রেফতার ১



কেরলের এক গর্ভবতী হাতিকে হত্যা করার অপরাধে গ্রেফতার করা হল একজনকে। গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল হাতি খুনে কাউকে রেয়াত করা হবে না। এক ছমাসের গর্ভবতী হাতিকে বাজি ভর্তি আনারস খাইয়ে দেয় কেরলের পালাক্কাড় জেলার একটি গ্রামের কয়েকজন গ্রামবাসী। কেরলের বনমন্ত্রী কে রাজু জানিয়েছেন, হাতি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার ও আরেকজনকে আটক করেছে পুলিশ ও বন দফতরের যৌথ তদন্ত কমিটি। ধৃতের নাম পি উইলসন, তিনি স্থানীয় একটি মশলা কারখানার কর্মী। বনমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যেই আরও গ্রেফতার হবে, অভিযুক্তদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কেরল পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির দাবি, হাতি নয় আসলে বুনো শুয়োরকে খেদানোর জন্যেই ওই বাজি ভর্তি আনারস রাখা হয়েছিল। শুয়োররা এসে ফসল ধ্বংস করে বলে তাঁরা এটা করেছিলেন।
 
অপরদিকে, মৃত হাতিটির ময়নাতদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে হাতিটি প্রায় ১৪ দিন কিছুই খায়নি। চিকিৎসকদের মতে, হাতিটির মুখেই বাজি বিস্ফোরণের ফলে মুখে ও গলায় গভীর ক্ষত হয়েছিল। এই ক্ষত থেকে মুখের ভিতরে সেপসিস হয়ে গিয়েছিল। তাই সম্ভবত হাতিটি হয়তো কিছুই খেতে পারছিল না। প্রচণ্ড যন্ত্রনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় ওই হাতিটি ভিলিয়ার নদীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তাঁর পেটে তখন ছমাসের বাচ্চা ছিল। এই ভাবেই হাতিটি প্রায় ১৪ দিন নদীর জলে দাঁড়িয়ে ছিল বলেও ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে। একটানা ১৪ দিন দাঁড়িয়ে থেকে এক সময় শরীর অবশ হয়ে যাওয়ার পর নদীতে পড়ে ভেসে যায় সে। তখনই জল ঢুকে ফুসফুস বিকল হয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় এক বনকর্মীর পোস্টের জেরেই এই হাতি হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসে। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post