পশ্চিমবঙ্গেও কি পঙ্গপাল? ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ায় গাছের পাতা সাবাড়!

এবার কী পশ্চিমবঙ্গেও কী পঙ্গপালের হানা? ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জঙ্গলে ইতিমধ্যেই পঙ্গপাল জাতীয় পতঙ্গের দেখা মিলছে বলে দাবি। পঙ্গপালের তাণ্ডব বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও? সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ‘ভাইরাল’ এই ছবি ও ভিডিও। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের লায়েকবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের লখ্যাশোল শালবাগানে এসে ঘাঁটি গেড়েছে পঙ্গপালের দল। ইতিমধ্যেই জঙ্গলের শাল পাতা সাবাড় করছে তাঁরা। তবে এই ঘটনার পিছনে পঙ্গপালই দায়ী কিনা নিশ্চিত নন কেউই। বিষ্ণুপুর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহাদেব মাল জানিয়েছেন, ‘একদিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে আমফানের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন এই এলাকার চাষিরা। এখন পঙ্গপালের হানা দিচ্ছে এই এলাকায়। কিন্তু এগুলি যদি সত্যিই পঙ্গপাল হয় তাহলে চাষিরা আরও ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে একটু নজর দিলে খুবই ভালো হয়’। এ বিষয়ে বিষ্ণুপুর ডিএফও-র সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

ছবি: বাঁকুড়ার জঙ্গলে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা…
অপরদিকে, ঝাড়গ্রামের স্থানীয় চাষিদের দাবি, পঙ্গপালের মতো দেখতে একরকমের পোকা লাউ, আদা ইত্যাদি গাছের পাতা খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে। যদিও জেলা কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই জেলায় পঙ্গপালের হামলার কোনও খবর তাদের কাছে নেই। একই দাবি বাঁকুড়ার বাসিন্দাদের, শাল ও তামাক পাতা খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে হাজার হাজার পঙ্গপাল। সোমবার সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়াশাল গ্রামে চাষের জমিতে এক ধরনের পাতাখেকো কীট দেখা গিয়েছে। চাষিদের দাবি, ওই পোকাগুলি ক্ষেতে থাকা করলা, ঝিঙে, কুদরোল, আদা প্রভৃতি গাছে পাতা খেয়ে ফেলছে নিমেষে। সবমিলিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া দুই জেলায়। সম্প্রতি উত্তর পশ্চিম ভারতে ব্যাপকভাবে হানা দিয়েছে পঙ্গপাল। উত্তর প্রদেশ-মধ্যপ্রদেশের পর এরাজ্যেও যদি পঙ্গপাল হানা দেয় তাহলে মাথায় হাত চাষিদের।
ছবি: এই পতঙ্গগুলিই এখন চাষিদের মাথাব্যাথার কারণ….
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post