শিল্পক্ষেত্রে কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে, আশা নরেন্দ্র মোদির


কলকাতায় শিল্প উৎপাদনের ইতিহাসে সবার আগে ছিল। আমি মনে করি, কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতার এই সভায় তিনি ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতা করেন তিনি। শুরুতেই তিনি বাংলায় বলেন, নমস্কার, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। একইসঙ্গে রাজ্যের শিল্প বিষয়ে নানা কথাও বলেন তিনি। মোদি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তৈরি পাটের ব্যাগ সারা দেশের মানুষের হাতে থাকলে রাজ্যের বিরাট লাভ হবে। নতুন নতুন পাটের প্যাকেজিং জিনিসপত্রের উৎপাদন শুরু করলে এখানকার পাটশিল্পের ব্যাপক লাভ হবে। পশ্চিমবঙ্গের আরও বেশি লাভ হবে। পশ্চিমবঙ্গে পাটচাষিদের জন্য ক্লাস্টার তৈরি হবে। উত্তর-পূর্ব ভারতেও জলপথ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কলকাতা-হলদিয়া জলপথ চালু হয়েছে। ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি আরও বলেন, এই সভা এমন একটা সময় হচ্ছে, যখন দেশ একাধিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা তো রয়েছেই, তার সঙ্গে পঙ্গপাল, অসমে তৈলক্ষেত্রে আগুন, কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের মতো সমস্যা রয়েছে। এই সব সমস্যার সঙ্গে দেশবাসী এক হয়ে লড়ছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

 আত্মনির্ভর হওয়ার কথা বলে দেশেই সৌর প্যানেল, ব্যাটারি তৈরি করুন। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। এলইডির জন্য প্রতি বছর বিদ্যুতের বিলে ১৯ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। তার চাহিদা এত বেড়েছে যে, দাম কমলেও বিপুল লাভ বেড়েছে। তাঁর দাবি, সরকার যে বিপুল কর্মসূচির ঘোষণা করেছে, তাতে পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারত তার লাভ পাবে উত্তর-পূর্ব ভারত জৈব পণ্য উৎপাদনে সারা বিশ্বে নজির সৃষ্টি করতে পারে। দেশবাসীর তিনি এক নতুন আশা দেখতে পাচ্ছেন। প্রতিরক্ষা, কয়লা, সৌরক্ষেত্র, বিমান পরিবহণে যদি আত্মনির্ভর হতে হবে। আত্মনির্ভর ভারতের মানে বিদেশ থেকে সবচেয়ে কম জিনিস এদেশে আমদানি করা। তাঁর দাবি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী আইনে সুবিধা পাবেন কৃষকরা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী যুব সম্প্রদায় এগিয়ে আসুন

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post