
ত্রাণ বিলিতে বাধা ও মিথ্যা মামলায় দলীয় কর্মীদের ফাঁসানোর মতো একাধিক অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার হুগলির ভদ্রেশ্বর থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেখানেই যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্যনেতা সায়ন্তন বসু। জিটি রোডেই তাঁকে আটকে দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এরপরই সায়ন্তন বসু পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর পুলিশের অনুরোধেই তিনি পিছু হঠে ফিরে যান কলকাতায়। সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বারবার বিজেপি নেতাদের বাধা দেওয়া দেখেই সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। অন্যদিকে, অন্য রাস্তা দিয়েই ভদ্রেশ্বর থানার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁকেও ভদ্রেশ্বর থানার সামনেই আটকে দেয় পুলিশ। তিনিও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁর বক্তব্য, এটা কোন দেশের গণতন্ত্র? এলাকার সাংসদকেই দিকে দিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মানুষের রায়ে জিতে আসার পরও প্রশাসন যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না। তিনি বলেন এবার বাংলা থেকেই তৃণমূলকে উৎখাত করবে মানুষ। অপরদিকে, তেলিনিপাড়া কাণ্ডে বিজেপির দুই সাংসদকে এদিন চুঁচুড়া থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও ব্যারাকপুরের সাংসদ হুগলির চুঁচুড়ায় চন্দননগর পুলিশের সদর দফতরে হাজির হন। তাঁরা পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল এদিন। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে থাকা স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি নেতাকে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পুলিশ দফতরের সামনেই ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরে অবশ্য বিজেপির দুই সাংসদ অর্জুন সিং ও লকেট চট্টোপাধ্যায় হাজিরা দিয়েছেন কমিশনারের দফতরে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback