
আমফান বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গে উদ্ধার ও ত্রান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছেই। এই পরিস্থিতিতে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিদর্শনে এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এরমধ্যেই রাজ্যের শাসকদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর গলায় শোনা গেল রাজ্যেরই এক মন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা। তিনি পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সূব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার নাম না করেই তুমুল সমালোচনা করলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার। মূলত তাঁর অভিযোগ, আমফানে তছনছ হয়ে যাওয়া সাগরদ্বীপে যাননি কোনও মন্ত্রীই। এর আগে কলকাতায় আমফান মোকাবিলা নিয়ে কার্যত প্রাক্তণ মেয়র তথা বর্তমান মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যের আরেক বর্ষীয়ান মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। এবার আরেক বর্ষীয়ান মন্ত্রীর সমালোচনায় বিদ্ধ হলেন আরেক মন্ত্রী। ফলে বাংলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন অতি তীব্র হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জনসংযোগ বাড়াতে শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কদের সাংবাদিক বৈঠক করতে বলেছিলেন। সেই মতো শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি নাম না করে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন। সুব্রতবাবুর কথায়, ‘সাগরে কোনও মন্ত্রী যাননি। পাশেই একজন মন্ত্রী থাকেন। তাঁর যাওয়া উচিত ছিল। যারা মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি, তাঁরা এটা ঠিক করেননি’। অবশ্য সাগরের বিধায়ক ভালো কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, গত ২০ মে বিকেলে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান সাগরেই ল্যান্ডফল করেছিল। তখন সেখানে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ১৮০-১৮৫ কিমি। ফলে সাগরদ্বীপের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপর দু সপ্তাহ কেটে গেলেও সেখানে যাননি সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। অথচ তিনি মুড়িগঙ্গার অপর পাড়েই থাকেন। এমনটাই অভিযোগ জানাচ্ছেন সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা। এবার তাঁদেরই মুখের কথা শোনা গেল পঞ্চায়েতমন্ত্রীর গলাতেও। যদিও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি মন্টুরাম পাখিরা। বারুইপুরের এক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না, এটা ওনার (সুব্রত মুখোপাধ্যায়) ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে’।
Post a Comment
Thank You for your important feedback