ইউরোপে করোনার নতুন সংক্রমণের ঢেউ, ফিরছে বিধিনিষেধও

ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) দেশগুলিতে এখন করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ। আবার ভাইরাসটির সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোথায় ভুল হলো, তার অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের (ইসিডিপিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ব্রিটেন ও ইউরোপের দেশগুলোয় দিনে নতুন সংক্রমণ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মাল্টা, রোমানিয়া ও স্পেনে মৃত্যু বাড়ছে নতুন করে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবারও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি গ্রীষ্মকালীন ছুটির শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজে যোগ দিচ্ছেন। পড়ুয়ারা ফের স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে। পাশাপাশি প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরোপিত কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এসব মিলেই নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষত তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। ইউরোপে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও এখনও তা আমেরিকার তুলনায় অবস্থা ভালো। ইউরোপের ৭৫ কোটি মানুষের মধ্যে ৪৪ লাখ মানুষ এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ২৭৮। অথচ ৩৩ কোটি জনসংখ্যার দেশ আমেরিকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ লাখ মানুষ। আর মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার। ইতিমধ্যে ফ্রান্স, স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়ে গেছে। আশঙ্কায় ভুগছে ব্রিটেনও।
আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ। অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে মাদ্রিদেও। স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১১ সেপ্টেম্বর স্পেনে মোট নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয় ১২ হাজার ১৮৩ জন। স্পেনে নতুন করে আক্রান্তদের এক-তৃতীয়াংশই মাদ্রিদের। ফ্রান্সে গত শুক্রবার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৩ হাজার ২১৫ জনের। এপ্রিলের পর এটিই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংখ্যা। একই দিনে চেক প্রজাতন্ত্রে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছেন ৩, ১৩০ জনের। নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত হয়েছেন ১, ৯৭৭ জন। নেদারল্যান্ডসে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ হার দ্বিগুণ হয়েছে। গত মে মাসের পর এখন আবার ইতালিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত শুক্রবার দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১,৯০৭ জন, যা গত মে মাসের পর সর্বোচ্চ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post