শিক্ষায় ন্যুনতম সরকারি হস্তক্ষেপ চান মোদি

শিক্ষাক্ষেত্রে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় বক্তৃতা দেন মোদি। এই সভায় ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালগুলির উপাচার্য ও অন্য প্রবীণ সরকারি অধিকারিকরা। মোদি বলেন, শিক্ষানীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ করা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তাঁর দাবি, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়নের সহায়ক হবে। তা দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের নতুন পথ দেখাবে। তিনি বলেন, শিক্ষানীতি এবং শিক্ষাব্যবস্থা দেশের মানুষের আশাপূরণের অন্যতম হাতিয়ার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থা সকলেরই শিক্ষাক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ ন্যূনতম হওয়া প্রয়োজন। বিদেশ কিংবা প্রতিরক্ষা নীতি কিন্তু নিছক সরকারি বিষয় নয়, রাষ্ট্রের বিষয়। শিক্ষানীতিও আসলে তেমনই। দীর্ঘদিন ধরেই বাচ্চারা ব্যাগ ও বোর্ড পরীক্ষার বোঝায় চাপা পড়ে যাচ্ছে, পরিবার ও সমাজের চাপে রয়েছে তারা। নয়া শিক্ষানীতিতে কার্যকর উপায়ে সেই বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। তাঁর কথা, ১৯৮৬ সালের শিক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় নীতি ঘোষণার ৩৪ বছর পর, একবিংশ শতাব্দীতে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষিত হয়েছে। তা আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। তাতে হাতেকলমে শিক্ষার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করতে হবে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post