আনন্দপুর শ্লীলতাহানি কাণ্ডে এখনও অধরা অভিযুক্ত

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারছে নির্যাতিতা তরুণীকে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে আলাপ জমিয়েছিল অভিযুক্ত। নির্যাতিতা তরুণীকে নিজের নাম অমিতাভ বসু বলেছিলেন তিনি। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নয়াবাদে তরুণীর ফ্ল্যাটের সামনে থেকেই নিজের হন্ডা সিটি গাড়িতে তুলে নেন অভিযুক্ত। পাঁটুলিতে এক রেস্তরাঁয় রাতের খাওয়া সারেন তাঁরা। এরপর বাইপাসের ধারে অজয়নগর, গড়িয়া, কালিকাপুর হয়ে আনন্দনগরে ঘোরাঘুরি করেন তাঁরা। তরুণীর বয়ান অনুযায়ী নয়াবাদের দিকে না গিয়ে অন্যদিকে গাড়ি ঘোরাতেই প্রতিবাদ করেন সে। এরপরই শুরু হয় বচসা। চলন্ত গাড়িতেই তাঁকে মারধোর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয় অভিযুক্ত অমিতাভ বসু।
এই সময় তাঁর মোবাইল থেকে তাঁদের সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, মেসেজ, কল লিস্ট ডিলিট করে দেন জোর করে। তরুণীর দাবি, এরপরই তাঁর মোবাইলটি রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন অভিযুক্ত। পুলিশের ধারণা, তরুণীকে অভিযুক্ত যে পরিচয় দিয়েছিলেন সেটা ভুয়ো। ফলে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁর গাড়িটি চিহ্নিত করতে পেরেছে। গাড়ির নম্বর প্লেটও জানা গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post