হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। এক-দুই বছর নয়, ১৩ হাজার বছর আগের কোনও এক দম্পতির পায়ের ছাপ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। এটাকে আশ্চর্যজনক বললেও কম বলতে হবে। নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ড ন্যাশনাল পার্কের এক নদীখাত থেকে পাওয়া গিয়েছে রহস্যজনক ওই পায়ের ছাপগুলি। নৃতত্ত্ববিদদের মতে এই পায়ের ছাপগুলির এক পুরুষ ও একজন নারীর। একটি শিশুর পায়ের ছাপও মিলেছে ওই এলাকায়। ফলে ধরে নেওয়া যায় তাঁরা দম্পতি এবং শিশুটি তাঁদের সন্তান। প্রথমে কয়েকটি কয়েকটি পায়ের ছাপের জীবাশ্ম উদ্ধার করে নৃতত্ত্ববিদরা। সেগুলি উদ্ধার করে পরীক্ষা করে দেখা যায় সেগুলি মানুষের এবং প্রায় ১৩ বছর আগের।
ফলে অতি উৎসাহে তাঁরা আরও খনন কার্য চালায় হোয়াইট স্যান্ড এলাকায়। পাওয়া যায় আরও অনেকগুলি পায়ের ছাপের জীবাশ্ম। বিজ্ঞানীরা খুটিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন পুরুষ ও নারীটির গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১.৭ মিটার। ফলে মনে করা হচ্ছে তাঁরা খুব দ্রুত ওই এলাকা দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। শিশুটির পায়ের ছাপ সামান্যই পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুমান করা হচ্ছে তাঁকে কোলে নিয়েই যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। হয়তো ক্লান্ত হয়ে কিছু সময়ের জন্য শিশুটিকে নামিয়েছিলেন তাঁরা। এই পায়ের ছাপের জীবাশ্ম পরীক্ষা করে নৃতত্ত্ববিদরা সেই সময়কার আরও তথ্য জানতে চাইছেন।
![](https://s3-ap-south-1.amazonaws.com/ctvn-bucket/uploads/2020/10/18162353/Screen-Shot-2020-10-18-at-4.20.23-PM-300x184.png)
সেই সময়কার মানুষের শারীরিক গঠন থেকে শুরু করে জীবনযাপনের পদ্ধতিও জানা যাবে। কারণ যে সময়কার জীবাশ্ম এগুলি সেসময় মানুষদের অতি ভয়ানক কিছু জন্তু-জানোয়ারদের সঙ্গে সহাবস্থান করতে হত। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের একটি শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের ধারেও মিলেছিল এক জোড়া মানুষের পায়ের ছাপ। বিজ্ঞানীদের মতে, সেই পায়ের ছাপের বয়স অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার বছর! বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া পায়ের ছাপের মধ্যে এগুলিই সবচেয়ে পুরনো।
Post a Comment
Thank You for your important feedback