গত ৮ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর পাশেই দেখা গিয়েছিল জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনকে। এবার তাঁর নিরাপত্তা সরিয়ে নিল রাজ্য প্রশাসন। একইভাবে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ নন্দীগ্রামের দুই নেতা আবু তাহের ও মেঘনাদ পালের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এই ঘটনা অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি এদিন রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে ট্যাগ করেই টুইট করে বলেন, ‘এই ধরণের কাজ সংবিধান বিরোধী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
Security withdrawal @MamataOfficial to Murshidabad Zila Parishad President actuated by political demeanor is serious issue as there can be no quid pro quo for security cover.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 11, 2020
Such actions @WBPolice @HomeBengal indicative of deep politicized working that is unconstitutional.
যদিও আচমকা কেন তাঁদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি রাজ্য পুলিশের তরফে। কেন নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল? এই প্রশ্নের উত্তরে মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদ সভাধিপতি মোশারফ হোসেন স্পষ্ট করে কিছু না বললেও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠতার জন্যই হয়েছে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তিনি এও বলেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার ফলে তাঁর নিরাপত্তা প্রাপ্ত। সেটা আচমকা তুলে নেওয়ায় যথেষ্ঠই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলেও জানাতে ভোলেননি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই নেতা।
অপরদিকে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দুর পাশেই ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের। তাঁর মতোই নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লক সভাপতি এবং নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান মেঘনাথ পালের নিরাপত্তারক্ষীও তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনিও সেদিন শুভেন্দুর সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার বিষয়ে আবু তাহের জানিয়েছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আমাকে কিছু জানানো হয়নি’। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাদের বক্তব্য, অনেকটা ঝি-কে মেরে বউকে শবক শেখানোর মতো বার্তাই দিতে চাইছে তৃণমূল। আর এর জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করছে শাসকদল। এই বিষয়টিই উল্লেখ করে ফের সরব হলেন রাজ্যপাল।
Post a Comment
Thank You for your important feedback