আদ্যন্ত বামপন্থী ছিলেন মারাদোনা

চলে যাওয়াটাও আচমকাই তাঁর করা গোলগুলোর মতো। তাঁর খেলার জীবন তো সবারই জানা কিন্তু মারাদোনার রাজনৈতিক ভাবনার কথা অনেকটাই অজানা। অতি সাধারণ পরিবারে জন্মেই বুঝেছিলেন জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার অন্য নাম লড়াই। দফায় দফায় আর্জেন্টিনায় বাম সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। 

 

একদিকে আমেরিকার রাজনৈতিক চাপ, অন্যদিকে আর্জেন্টিনার পাশেই থাকা সমুদ্রের উপর ছোট্ট দ্বীপ ফকল্যান্ড যা কিনা ব্রিটিশদের কলোনি। এই ফকল্যান্ড থেকে বারবার আর্জেন্টিনার উপর গোলাবর্ষণ একটা সময়ে অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। যুদ্ধে অনেকটাই বিধ্যস্ত হয়েছিল মারাদোনা দেশ। এর ফলে দিয়েগোর চিরকালের রাগ ছিল ব্রিটিশদের উপর।


সময় পাল্টে যখন তিনি বিখ্যাত হলেন ফুটবলে তাঁর বাজারদর তুঙ্গে তখন বারবার আকাশচুম্বী অর্থ দিয়েও ইংল্যান্ডের কোনও ক্লাব তাঁকে কিনতে পারেনি। তিনি ইতালিতে খেলার সময়ে সে দেশের সবচেয়ে দারিদ্র শাহরের ক্লাব নাপোলিতে খেলে তাদের চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। তিনি ইউরোপ গিয়ে লাতিন,পর্তুগিজ ইত্যাদি ভাষা শিখেছিলেন কিন্তু কোনওদিনও ইংরেজি শেখেননি।

 

 ১৯৮৬-র ইংল্যান্ডকে হারানোর পর তাঁর বিখ্যাত ' ঈশ্বরের হাত' তো ক্রোধেরই প্রকাশ। তিনি জীবনে প্রচুর রোজগার করে বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছ থেকে টাকা রোজগার করতেই ইউরোপ আসা। কিউবার সাথে তাঁর সখ্যতা এবং তাদের অর্থ দিয়ে সাহায্য কর্তব্য ছিল বলেই মারাদোনা জানান।চে গুয়েভারার ভক্ত ছিলেন তিনি, চের ছবি ট্যাটু করে তাঁর হাতে লাগানো ছিল। তিনি শেষদিন পর্যন্ত বামপন্থীই ছিলেন|            

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post