করোনা আবহে লকডাউন সমস্যায় ফেলেছে সুন্দরবনবাসীদের। পর্যটন ব্যবসা লাটে উঠেছে দক্ষিণ সুন্দরবনের একাধিক জায়গায়। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, আমফান আর করোনা রোগে সুন্দরবনবাসীকে আরও নিঃস্ব করে দিয়েছে। তাই এখন উপার্জনের আশায় পর্যটকদের দিকে তাকিয়েসবাই। ইউনেস্কোর তরফে সুন্দরবনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ ঘোষণা করা হয়েছে। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পাশাপাশি ‘সুন্দরী’ সুন্দরবনে দেখা মেলে হরিণ, কুমীর, বন্য শূকর, বাঁদর, বন মুরগি-সহ বহু প্রজাতির পাখির।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৈখালি, রায়দিঘি, গদখালি থেকেও সুন্দরবন ভ্রমণের চেহারা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে পাথরপ্রতিমা, জি প্লট, কে প্লট,এল প্লটের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এছাড়া রয়েছে বনিক্যাম্প, কলস, চুলকাটি, বাঘের চরের মতো ব্যাঘ্র প্রকল্পের দ্বীপগুলি।
লকডাউনে ব্যবসা মন্দা। তার উপর সুন্দরবনের লঞ্চের খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। খাওয়াদাওয়া তো রয়েছে। ফড়েদের উৎপাতে কমছে সুন্দরবনের পর্যটক। দেখা নেই প্রশাসনের। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারিভাবে যদি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হত তাহলে পর্যটকদের সমস্যা থাকত না। আর মাত্র কয়েকটা দিন। ডিসেম্বর মাস উপেক্ষা করে চলছে জোর তোড়জোড়। ২৫ শে ডিসেম্বরকে লক্ষ্য করে এগোচ্ছেন সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback