অসংগঠিত শ্রমিকদের সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম চত্বরে। সোমবার ওই সমাবেশে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে ঘিরে প্রথমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এসএলও-র (Self Employed Labour Organisation) সদস্যরা। বেশ কিছু চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে লালবাজার ও হেয়ার স্ট্রিট থানার বিশাল বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
সোমবার বিকেলে বকেয়া মেটানো ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রম দফতরে বৈঠকে অসংগঠিত শ্রমিকদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম চত্বরে। সোমবার ওই সমাবেশে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সহ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক এবং সাধন পাণ্ডেকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ৯ মাসের বকেয়া বেতন মেটাতে হবে। এদিন মন্ত্রীদের বক্তব্য শোনার পরই বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন তাঁরা। বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল ও ফ্লেক্স ভাঙচুর করা হয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম চত্বরে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় লালবাজার ও হেয়ার স্ট্রিট থানার বিশাল বাহিনী। তাঁরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। যদিও যথেষ্ঠ উত্তেজনা রয়েছে স্টেডিয়াম চত্বরে।
শ্রমিকরা জানান, সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি বৈঠকে আসেন ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে ও মলয় ঘটক। তাঁদের সামনে নিজেদের বেতন বৃদ্ধি ও ৯ মাসের বকেয়া বেতন মেটানো সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। কিন্তু অভিযোগ, বৈঠক থেকে সমস্যা মেটানোর জন্য কোনও সুস্পষ্ট বার্তা দেননি মন্ত্রীরা। প্রতিবারের মতই প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসই শোনা গিয়েছে তাঁদের বক্তৃতায়। এরপরই বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন তাঁরা। শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে পরে কার্যত পালিয়ে যেতে হয় ফিরহাদ হাকিম সহ রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের। এরপরই প্রায় ৪০ মিনিট রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভরত শ্রমিকরা। তাঁদের সরাতে পুলিশ রীতিমতো লাঠি চার্জ করেছে বলেও দাবি বিক্ষোভকারীদের।
এবিষয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে এই রাজ্যে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বেতনই বেড়ে চলেছে। কিন্তু মানুষ বেতন পাচ্ছেন না। এই ঘটনায় শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback