শাসকদলের মাদার ও যুব সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে সোমবার উত্তপ্ত হয়েছিল গোলাবাড়ি বাজার। দিনভর ব্যাপক বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনায় রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। এলাকার একাধিক দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ। গুলির আঘাতে আহত হন ৫ তৃণমূল কর্মী সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। গতকালের ঘটনার পর রাতভর তল্লাশি চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ হাসান মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট আটজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। মঙ্গলবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই থমথমে গোলাবাড়ি বাজার। বন্ধ রয়েছে সব দোকানপাটও। রাতেই বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তল্লাশি চলে। সকালে নতুন করে যাতে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায় তার জন্য এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। কড়া নজরদারি করছে ক্যানিং থানার পুলিশ। এসব স্বত্বেও চাপা আতঙ্ক রয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের একটি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই জনসভায় গোলাবাড়ি থেকে যুব তৃণমূল কর্মীরাও আসেন। তা নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। অভিযোগ, ওই বচসার কারণেই গোলাবাড়ি অঞ্চলের উপপ্রধানের নেতৃত্বে যুব কর্মীদের উপর গুলি ও বোমা দিয়ে হামলা করা হয়। তবে সম্পূর্ণ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
Thank You for your important feedback