জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারণ জিতেন্দ্রকে, বড় পদ পেলেন শতাব্দী

আসানসোলের পুর প্রশাসক পদ থেকে আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর ইস্তফা পত্র গ্রহন করে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে আসানসোলের পুর প্রশাসক করা হয়। এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদও হাতছাড়া হল জিতেন্দ্র তিওয়ারির। পুর প্রশাসকের সঙ্গে জেলা সভাপতি পদেও ইস্তফা দিয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক। সেই ইস্তফাও গ্রহন করা হল। ওই জেলায় তৃণমূলের নতুন সভাপতি করা হয়েছে অপূর্ব মুখোপাধ্যায়কে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হল মন্ত্রী মলয় ঘটককে। ফলে জিতেন্দ্র এখন শুধুই বিধায়ক। তৃণমূলের কোনও সাংগঠনিক পদেই আর রাখা হল না আসানসোলের প্রভাবশালী এই নেতাকে। ফলে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক জল্পনা বাড়ছে জিতেন্দ্রকে ঘিরে। অপরদিকে দলের প্রতি অসোন্তোষ প্রকাশের পরই বড় পদ পেলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল। পাশাপাশি ওই একই পদে আনা হয়েছে মালদা জেলার সংখ্যালঘু নেতা মোয়াজ্জেম হোসেনকেও। 


গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই জিতেন্দ্র তেওয়ারি কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলে শোড়গোল বাধিয়েছিলেন। এরপর ১৭ ডিসেম্বর আসানসোলের পুর প্রশাসক এবং জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও। কিন্তু দিন দুয়েক পরই ভোল বদলে তৃণমূলেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জানিয়ে দেন সমস্যা মিটে গিয়েছে। তবুও শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে দুটি পদ থেকেই সরিয়ে দিল। তবে কি এবার বিজেপির পথেই পা বাড়াবেন এই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা? যদিও জিতেন্দ্র এখনও দাবি করেছেন, তিনি সাধারণ কর্মী ও বিধায়ক হিসেবেই মানুষের পাশে থাকবেন।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post