নন্দীগ্রামে মমতার সভায় আমন্ত্রিত নন শিশির, দিব্যেন্দু!

সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেই নন্দীগ্রামে পা রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর এই প্রথমবার নন্দীগ্রামে পা রাখবেন তৃণমূল নেত্রী। ফলে এমনিতেই এটা প্রেস্টিজ ফাইট তৃণমূলের কাছে। কিন্তু সভার আগেই বিতর্ক ও জল্পনাও কম হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করবেন অথচ জেলার দুই গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ আমন্ত্রিত নন। সূত্রের খবর, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে দল মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রন জানানো হয়নি।

 যদিও দুজনেই এখন তৃণমূলের সাংসদ। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী শাসকদলের হাত ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ছোটভাই সৌমেন্দুও বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু বাবা শিশির এবং আরেক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী কিন্তু দল ছাড়েননি। এরমধ্যে শিশির অধিকারীকে সরকারি ও দলের সাংগঠনিক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সভাতেও আমন্ত্রন জানানো হল না। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে অধিকারী পরিবারের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

অপরদিকে অধিকারী পরিবারের সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলের তরফে নন্দীগ্রামে মমতার সভা নিয়ে কেউ তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি। তাই সভায় যাওয়ার প্রশ্ন-ই ওঠে না। যদিও এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাফাই, শিশির অধিকারীই চেয়ারম্যান রয়েছেন, তাঁর নেতৃত্বেই তো সভা হচ্ছে। তাই দলের পদাধিকারীকে কি আমন্ত্রন পাঠাতে হবে? বিষয় যাই হোক, সোমবার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আতস কাঁচের তলায় থাকবে। তিনি নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে অধিকারী পরিবারের উদ্দেশ্যে কোনও বার্তা দেন কিনা তার দিকেও তাঁকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এমনকি কাঁথির অধিকারী পরিবারের কর্তাও।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post