ভোটের আগে একাধিক জেলায় উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেফতার ৫

বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। পাল্লা দিয়ে সামনে আসছে বেঅাইনি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্তের ঘটনা। শুক্রবার খাস কলকাতায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার এক মহিলা সহ ৩ জন। পাশাপাশি কালিয়াচকের পর ফের মালদার হরিশচন্দ্রপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উভয়ক্ষেত্রেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিহার থেকে আনা হয়েছে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি।  

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডেন গার্ডেন রেলওয়ের টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে ইয়াসমিন বেগম নামে ওই মহিলার কাছ থেকে চারটি  ৯ মিমি ইম্প্রোভাইজড পিস্তল এবং আটটি ম্যাগাজিন ও অপর অভিযুক্ত শাহরুখের কাছ থেকে ২টি ৯ মিমি ইম্প্রোভাইজড পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই দু'জনের বিহারের ভাগলপুর থেকে একটি বাসে করে অস্ত্র নিয়ে বারুইপুরের আবদুল সেলিম গাজির কাছে চালান করার পরিকল্পনা ছিল। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে আবদুল সেলিম গাজিকেও গ্রেফতার করা হয়। 

অপরদিকে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে দুটি রাইফেল, দুটি পাইপ গান ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ। গোবরাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করা হয়। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে উদ্ধার হয় চারটি আগ্নেয়াস্ত্র। বাংলা বিহার সীমান্ত গোবরা ঘাট এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি উদ্ধার হওয়ায় পুলিশের অনুমান বিহার থেকে মালদায় নিয়ে আসা হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃত দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই কালিয়াচক থেকে উদ্ধার হয় সম্পূর্ণ তৈরি ও ৭টি আংশিক তৈরি ৭ এমএম পিস্তল। এছাড়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রেও সামনে এসেছিল বিহার যোগ। ওই ঘটনায় ধৃত দুজনই বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। এই ঘটনায়  জেলা বিজেপির সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো বিধানসভা নির্বাচনকে ও রক্তাক্ত করতে চাইছে তৃণমূল। সেই কারণে আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করছে। প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। এদিকে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, বিহারে বিজেপি সরকার রয়েছে। সেখান থেকেই মালদায় অস্ত্র নিয়ে আসা হচ্ছে। নির্বাচন পরিচালনা করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সুযোগেই অস্ত্র ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post