ছেলে বিজেপিতে এসেছে, শিশিরের আসা সময়ের অপেক্ষাঃ মুকুল

পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে কি পাকাপাকি সম্পর্ক ঘোচাতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস? শুভেন্দুর পথেই কি তাঁর বাবা ও দুই ভাই বিজেপিতে যোগ দেবেন? এরকমই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। মঙ্গলবারই দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে অপসারণ করা হয়েছে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে। এরপরই জন্ম নিচ্ছে বিভিন্ন জল্পনার। এবার সেই জল্পনা আরও উস্কে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। এদিন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূল ‘পারিবারিক রাজনৈতিক দল’। 

তিনি বলেন, পারিবারিক রাজনৈতিক দল শিশির অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করাই ভালো। এরপর শিশিরের দলত্যাগ ও বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে মুকুলের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, শুভেন্দু তো এসেছে, ওর ভাইও এসেছে, শিশিরের আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। উল্লেখ্য, গত মাসেই শুভেন্দু টিটাগড়ে এক জনসভায় জানিয়েছিলেন, তাঁর ঘরেতেও পদ্ম ফুটবে। রাজ্য রাজনীতিতে চাণক্য হিসেবে পরিচিত মুকুল রায়ের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন এই ইস্যুতে। তিনি বলেন, ধ্বংস শুরু হয়েছে। সেই ধ্বংসের কাজকে এগিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, বিজেপি–র দরজা সকলের জন্য খোলা। বিজেপি–তে যাঁরা আসতে চাইবেন তাঁদের সবাইকে স্বাগত। যদিও অপসারণ নিয়ে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি শিশির অধিকারী। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, অপসারণের কোনও চিঠি পাননি তিনি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সাফাই, ‘ছেলের কাজে লজ্জিত শিশিরদা। অসুস্থ ছিলেন, তাই অব্যাহতি চেয়েছেন’। তবুও থামছে না জল্পনা। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post