বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় বছরের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন বসে। আর এই সভায় তুলকালাম বাধল। বিজেপি বিধানসভার অধিবেশন ওয়াকআউট করল, অপরদিকে বাম-কংগ্রেস বিধায়করা ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন। এদিন প্রথম থেকেই বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সভার অধিবেশন সরগরম ছিল। এরমধ্যেই ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপমান নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চায় সরকার পক্ষ। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘জন্মজয়ন্তীতে নেতাজিকে স্মরণ না করে নিন্দনীয়ভাবে ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চকে রাজনৈতিক মঞ্চের রূপ দেওয়া হয়েছে। এতে নেতাজিকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। ওই মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করে অপমান করা হয়েছে’।
এরপরই বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। আর তাঁর বক্তব্য বাম ও কংগ্রেসের দিকে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তাপস রায়। তিনি বলেন, ‘এজন্য তিনি বাঙালি হিসাবে লজ্জিত, ভারতীয় হিসাবে ক্ষুব্ধ’। পাল্টা প্রতিবাদ করতে থাকেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলতে থাকেন, এইভাবে বিধানসভায় কোনও প্রস্তাব আনা যায় না। তখন স্পিকার তাপস রায়ের বক্তব্যকে ‘ইনফরমেশন’ বলে উল্লেখ করেন। এই বক্তব্যেরও প্রতিবাদ করতে থাকেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় কিছু মন্তব্য করেন। এরপরই বাম-কংগ্রেস বিধায়করা বিধানসভার ওয়েলে নেমে এসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। পরে অবশ্য সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাপস রায় যে বক্তব্য রেখেছেন তা বাতিল করা হল।
অপরদিকে, এদিন সরকার পক্ষ কেন্দ্রীয় তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রে মনোভাবের জন্যই ২৬ জানুয়ারি ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর দায় কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা পুরো ব্যর্থ। এর বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়করা। এই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তখনই বিধানসভা কক্ষে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শোনা যায়। শেষে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তবে বিজেপি সভাকক্ষ ত্যাগ করলেও প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback