বাগবাজারে গৃহহীনদের ঘর বানিয়ে দেবে পুরসভা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাগবাজারে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বস্তির সমস্ত ঘর আগের মতোই বানিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। আপাতত গৃহহীন ও সর্বস্ব হারানো বস্তিবাসীদের সব দায় নেবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী বাগবাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি কথা বলেন, গৃহহীনদের সঙ্গে। তাঁদের অসহয়তার কথাও শোনেন। এরপরই তিনি বলেন, ‘চিন্তার কারণ নেই। বাসিন্দাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকারই’। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান, মন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। 

বুধবার সন্ধ্যায় আচমকা আগুন লাগে বাগবাজারের হাজারহাত বস্তিতে আগুন লেগে যায়। প্রথমে কয়েকটি ঝুপড়িতে আগুন ছড়ালেও পরে পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। যদিও স্থানীয়দের দাবি ছিল, দমকলের গাড়ি অনেক দেরিতে আসে। তাই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি পরে জানান, কলকাতার পুরসভার পক্ষ থেকে আগের মতো সকলের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার  এলাকা পরিষ্কার করা হবে। তারপর নতুন করে শুরু হবে বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া।

বাগবাজারে বস্তির পাশেই রয়েছে ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার কার্যালয় এবং ‘মায়ের বাড়ি’। সেখানেও আগুন থাবা বসিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মহারাজদের থাকার জায়গা ও উদ্বোধনের কার্যালয়। এদিন বস্তি পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী সেখানেও যান। ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহারাজের সঙ্গেও দেখা করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই আগুন লাগার খবর পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর নির্দেশে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার সিপি অনুজ শর্মা। এরপর রাতের দিকে গঙ্গাসাগর থেকে চলে আসেন ফিরহাদ হাকিমও। দুর্গতদের বাগবাজার উইমেন্স কলেজে থাকার ব্যবস্থা করে সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যতদিন না বাড়ি তৈরি হচ্ছে, ততদিন মহিলা কলেজেই থাকবেন দুর্গতরা।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post