তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা টিকা নিচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা কীভাবে পাবেন? কটাক্ষ দিলীপের

‘লাইনে দাড়িয়ে পঞ্চায়েত প্রধান, MLA-রা ভ্যাকসিন নিলে স্বাস্থ্যকর্মীরা কীভাবে পাবেন?’ মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। প্রথম দিনের করোনার টিকাকরণের পর মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিল কেন্দ্র, পরদিনই পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রবিবার সকালে এক চা চক্রে অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগলেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘তৃণমূল নেতারা এতদিন কাটমানি নিত, টাকা নিত, এখন ভ্যাকসিন নিয়ে নিচ্ছে’। উল্লেখ্য, টিকাকরণ র শুরু হওয়ার আগেই এক ভিডিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুরোধ করেছিলেন মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা প্রথম পর্যায়ে যেন টিকা না নেন। শুধুমাত্র প্রথমশ্রেণীর করোনা যোদ্ধাদেরই টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু রাজ্যে প্রথমদিনের টিকাকরণ হওয়ার পর জানা যাচ্ছে রাজ্যের কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্য টিকা নিয়েছেন। এমনকি জেলার কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিকও টিকা নিয়েছেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার সেই বিতর্ক ঘি ঢেলে আরও উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এদিন টিকা নিয়েছেন।

এদিন কলকাতার চৌরঙ্গীতে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, সারা দেশে পরিবর্তন হয়েছে। এখানেও পরিবর্তন হবে। তাই আমিও অফার দিচ্ছি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদানের। কারণ ওই দলে কেউ থাকতে চাইছে না, সকলেই চাইছেন বিজেপিতে আসতে। এরপরই স্বভাব সুলভ রসিকতায় তাঁর কটাক্ষ, ‘দিদি ফোন করে সবাই কে জিগেস করছে, তুমি আছো তো, নাকি বিজেপিতে চলে গেছ?’ এদিন ফের তিনি রাজ্য সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলায় চাকরি নেই, আইন নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই। শুধুমাত্র খুন, ধর্ষণ ও কাটমানিতে এগিয়ে বাংলা। এরপরই তিনি যোগ করেন, সোনার বাংলা একমাত্র বিজেপি গড়তে পারে। আর কেউ পারবে না। এই পরিবর্তনের জন্য লড়াই করছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, এবার ভোট শান্তিপূর্ণই হবে, কারোর হিম্মত হবে না ভোটারদের ওপর হাত তোলার।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post