বসতি এলাকায় অবৈধ অ্যাসিড কারখানা, ধৃত ১

ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় চলছে অবৈধ অ্যাসিড কারখানা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ভাঙড় থানার পুলিশ ডিএসপি (ক্রাইম) তমাল সরকারের নেতৃত্বে ফরেনসিক টিম নিয়ে হানা দেয় ওই অ্যাসিড কারখানায়। কারখানা বন্ধ করার পাশাপাশি কারখানার এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

সিনিয়র বিশেষজ্ঞ দেবাশিস সিনহা জানান, যে কোনও মুহূর্তে কারখানার ক্লোরিন গ্যাসের সিলিন্ডার লিক হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এরকম ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কিভাবে এই অ্যাসিড কারখানা চলছে সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তমাল সরকার জানান, একাধিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পরেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীদের দাবি, শাসকদলের মদতেই অবৈধভাবে অ্যাসিড কারখানা চলত ভাঙড়ের বহিরামপুরে। 

প্রশাসন সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সোনালি কেমিকেল নাম দিয়ে অবৈধভাবে এই কারখানা চলছে। এবিষয়ে নলমুড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক অনিমেষ হোড় জানান, এই ক্লোরিন গ্যাসের যে দুর্গন্ধ, তা থেকে মানুষের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এর পাশাপাশি ওই সিলিন্ডার লিক হলে যেকোনও  মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ধৃত প্রজাপতি দিন্দা নামে কারখানার এক কর্মীক জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

এদিকে অ্যাসিড কারখানা চলার পিছনে তৃণমূলের মদত আছে বলে দাবি করেন স্থানীয় সিপিআইএম নেতা আসলাম ঘরামি। তিনি জানান, ভাঙড়ে শুধু অ্যাসিড কারখানা নয়, অবৈধভাবে চামড়ার কারখানা চলছে। প্রশাসন কড়া হাতে ব্যবস্থা নিলে এগুলি সব বন্ধ হয়ে যাবে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা বাহারুল ইসলাম বলেন, এসবে তৃণমূল মদত দেয় না। যদি দলের কেউ এর পিছনে থাকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক।


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.