ইতিহাস ভারতীয় রেলের, গোটা ট্রেনই আস্ত একটা হাসপাতাল!

আস্ত একটা ট্রেনকেই হাসপাতালে রূপান্তরিত করল ভারতীয় রেল। গোটা বিশ্বে এই ধরনের উদ্যোগ প্রথম বলেই দাবি রেলের। ট্রেনটির নাম ‘লাইফলাইন এক্সপ্রেস’। ভারতীয় রেল হল ভারতবর্ষের লাইফ লাইন। এবার তাঁরা মানবিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এল। আস্ত একটা ট্রেনে অত্যাধুনিক হাসপাতাল বানিয়ে ফেলেছেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। তাতে রয়েছে দুটি আধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও পাঁচটি অপারেটিং টেবিল। রয়েছে এক্স-রে মেশিন, স্ক্যান মেশিন এবং অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি।

 এছাড়া দাঁত ও চোখের চিকিৎসার যাবতীয় সাজসরঞ্জাম। সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনের প্রতিটি কামরায় রয়েছে ওয়াটার পিউরিফায়ার, গ্যাস স্টোভ, ইলেক্ট্রিক ওভেন। পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের জন্য থাকার আরামদায়ক ব্যবস্থা রয়েছে লাইফ লাইন এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরায়। রয়েছে একটি অডিটোরিয়াম, তাতে রয়েছে বড়সড় এলইডি স্ক্রিন। 

রেলের দাবি, দেশের প্রত্যন্ত এবং প্রান্তিক অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতেই ‘লাইফ লাইন এক্সপ্রেস’ চালু করা হয়েছে। যদিও এই ট্রেন প্রথম তৈরি হয়েছিল ১৯৯১ সালে। বর্তমানে সেটিকেই আরও আধুনিক করে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। ট্রেন হাসপাতালে বসানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। রেলের বক্তব্য, মূলত অনুন্নত এলাকাতেই যাবে এই লাইফলাইন এক্সপ্রেস। বর্তমানে সেটি আছে অসমের বদরপুরে। বিনামূল্যেই গরিব ও দুঃস্থ মানুষ এখানে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন। 

লাইফলাইন এক্সপ্রেসে কর্মরত চিকিৎসকরা প্রথমে রোগীদের পরীক্ষা করে দেখেন। প্রয়োজন হলে তাঁদের এক্স-রে বা অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষা করানো হয়। দরকার পড়লে রোগীর শরীরে অপারেশন করেন ডাক্তারবাবুরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, একেকটি এলাকায় বা স্টেশনে ২০ থেকে ২৫ দিন করে থাকে লাইফ লাইন এক্সপ্রেস। আপাতত ৫ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ট্রেন হাসপাতাল থাকবে অসমের বদরপুরে। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post