জয় হাতছাড়া ব্রাইটদের, স্কটের গোলে হার বাঁচল লাল-হলুদের

শুক্রবার আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে কেরালা ব্লাস্টার্সের মুখোমুখি হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের নাটকীয় সমাপ্তি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে হার বাঁচালেন স্কট নেভিল।ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে।
ম্যাচের প্রথম লগ্ন থেকেই দু’দলই একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ত চাইনি। ফলে শুরু থেকেই চোঁখে পড়ার মতো ছিল দু’দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ম্যাচের ছয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কিবু ভিকুনার দল। কিন্তু পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে কেরালার স্ট্রাইকার জর্ডানের নেওয়া শট বাঁচান ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। ১১ মিনিটে একই সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছেও। কিন্তু পরাস্ত হয় কেরালার গোলকিপার অ্যালবিনো গোমসের কাছে। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যেই।
 দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমনে ঝাঁঝ বাড়ায় লাল-হলুদ শিবির। ৪৭ মিনিটে ব্রাইট বল বাড়িয়েছিলেন হরমনপ্রীতকে। কিন্তু তিনি বলের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। তার আগেই কেরালার অধিনায়ক জেসেল বলকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে বিপদমুক্ত করেন। ৬৪ মিনিটে বিপদ নেমে আসে লাল-হলুদ শিবিরে। ইস্টবেঙ্গলের তিন ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে বল নিয়ে এগিয়ে আসেন জর্ডান মারে। দেবজিৎ বলকে ধরার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। তার আগেই জর্ডান বলকে জালে জড়িয়ে এগিয়ে দেয় কেরালাকে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে স্কট নেভিলের গোলে ম্যাচের সমতায় ফেরে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের প্রথম থেকেই লাল-হলুদকেই এগিয়ে রেখেছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ম্যাচ শুরু হতেই রবি ফাওলারের দলের দুরন্ত স্ট্রাকার ব্রাইটকে বন্দি করছিলেন কেরলের ফুটবলাররা। ফলে বেশিরভাগ সময়েই তাঁর বাড়ানো পাস আটকে যায় কেরালার ডিফেন্ডারদের জালে। শুক্রবারই কেরালার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন বেঙ্গালুরু থেকে লোনে আসা নতুন ডিফেনন্সিভ মিডফিল্ডার অজয় ছেত্রী। ১১ ম্যাচ খেলে ১১ পয়েন্ট এসসি ইস্টবেঙ্গলের। অন্যদিকে সমসংখ্যাক ম্যাচ খেলে কেরালার পয়েন্ট ১০।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post