প্রাথমিকে নিয়োগে ফের ধাক্কা রাজ্যের, ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ

দীর্ঘ ১১ বছর পর কলকাতা হাইকোর্টের রায় স্বস্তি পেল ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীরা। আটকে থাকা উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদা জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৪ দিনের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এদিন হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যদি এত শূন্যপদ নাও থাকে তবে শূন্যপদ তৈরি করে নিতে হবে। এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। 

বাম আমলে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০০৯ সালে। মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। শূন্যপদের হিসাব অনুযায়ী, মাধ্যমিকে যার নম্বর বেশি, তিনিই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডাক পান। সেইমতো ডাক পাওয়া চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে সবথেকে কম নম্বর আসে ৬৮ শতাংশের। ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে নিয়োগের পরীক্ষা ও নিয়োগ হয়ে গেলেও চার জেলা মালদা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়ায় নিয়োগ আটকে যায়। 

এরপর ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। কিছু পরীক্ষার্থীর মামলার জেরে ২০১৪ সালে হাওড়া জেলার চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ওই বছরই মালদা, দুই ২৪ পরগনা জেলায় পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৫ সালে ১১ জুন ইন্টারভিউ শেষ করে চূড়ান্ত প্যানেল তৈরি হয়। কিন্তু সেই প্যানেল আজ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। যার ফলে মালদা ও দুই পরগনার নিয়োগ এখনও হয়নি। ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগের দাবিতে  কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘ ১১ বছরের লড়াইয়ে শেষে আদালতের রায়ে মুখের হাসি ফুটেছে চাকরিপ্রার্থীদের। শিক্ষকতার পেশায় যোগ দেওয়া নিয়ে এইবার আশায় বুক বাঁধছেন চাকরিপ্রার্থীরা।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post