মান ভাঙাতে শতাব্দীর বাড়িতে কুণাল, ফোন করতে পারেন মমতাও

প্রথমে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন ফেসবুক ফ্যানস পেজে। এরপর সংবাদমাধ্যমেই জানিয়ে দিলেন মনের ক্ষোভ। এমনকি অকপটে জানিয়েছেন তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথাও। তিনি বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার তাঁর ক্ষোভ প্রশমিত করতে দ্রুতই ব্যবস্থা নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৪ ঘন্টার আগেই শতাব্দীর বাড়িতে হাজির হলেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি শুক্রবার সকালেই শতাব্দীকে ফোন করেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও।
তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন শতাব্দী রায়কে। কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বেলাইন শতাব্দীকে বাগে আনতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল শাসকদল। উল্লেখ্য, প্রায় ঘণ্টাখানেক শতাব্দীর বাড়িতে ছিলেন কুণাল। কিন্তু সেখান থেকে বের হয়ে তিনি সেভাবে কিছুই বলেননি উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সামনে। কুণাল দাবি করেন, তিনি শতাব্দীর দীর্ঘদিনের বন্ধু, তাই এদিন তিনি এসেছিলেন। কিছু সুখ-দুঃখের কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। এর বেশি কিছু নয়। শতাব্দীর এহেন ফেসবুক পোস্ট নিয়েও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি কুণাল। তাঁর কথায়, এটা শতাব্দীর ব্যক্তিগত বিষয়, আর দলের ব্যাপার। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। যদিও সৌগত রায় এদিন ইঙ্গিত দেন, বীরভূম জেলার সংগঠন নিয়ে ওর কিছু ক্ষোভ রয়েছে। দল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে এদিন কুণাল ঘোষ তৃণমূল সাংসদ শতাব্দীর মনের অবস্থা বুঝতেই গিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি। কেন আর কার প্রতি ক্ষোভ রয়েছে শতাব্দীর সেটাও জানার চেষ্টা করলেন কুণাল। এখন দেখার শতাব্দীর মান ভাঙাতে কতটা সমর্থ হয় শাসকদল।

 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.