জন্মদিনে স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান একাধিক রাজনৈতিক নেতার

করোনা আবহে উত্তর কলকাতায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির ভিটে বাড়িতেই পালিত হবে স্বামী বিবেকানন্দর ১৫৯ তম জন্মদিন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিবছর যে শোভাযাত্রা হয় এবছর তা বন্ধ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে শুধুমাত্র স্বামীজির মূর্তিতে ফুল ও মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন জনসাধারণ। স্বামীজির পৈতৃক বাড়িতে দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। তবে মিশন কর্তৃপক্ষের তরফে সীমিত অতিথি নিয়েই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তবে একুশের বিধানসভাকে মাথায় রেখে এবছর স্বামীজির জন্মদিন ঘিরেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এদিন সকালবেলা থেকেই স্বামীজির বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কেশবপ্রসাদ মৌর্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এর সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। বহু বছর ধরেই এইদিনে স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এর আগে নেতা, মন্ত্রী হিসেবে এসেছিলেন। এবার একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই এসেছেন। স্বামীজির আদর্শ আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক।     

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত 'বিবেকের ডাক' মিছিলের আয়োজন করে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির তরফে জানানো হয় এটি হতে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি মিছিল। মিছিলে অংশ নেন বিজেপি রাজ্য  সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা, সব্যসাচী দত্ত, জয়প্রকাশ মজুমদার ও স্বপন দাশগুপ্ত। তবে ব্যক্তিগত কারণে গেরুয়া শিবিরের মিছিলে এদিন অংশ নেননি শুভেন্দু অধিকারি। 

এদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত স্বামীজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। গোলপার্কের বিবেকানন্দ মূর্তিতে মাল্যদান করে এর সূচনা হবে। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post