যোগী আদিত্যনাথের সরকারের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই অবস্থানে অনড় কৃষকরা। তাঁরা শুক্রবার ভোর থেকেই দিল্লি-মিরাট সড়কে বসে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বারবার বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। কাটা হয় জলের লাইন। গাজিয়াবাদের জেলাশাসক অজয়শঙ্কর পান্ডে তাঁদের বলেন, রাতের মধ্যে জায়গা খালি না করলে প্রশাসন তাঁদের হটিয়ে দেবে।
তিন কোম্পানি সিআরপিএফ, ছয় কোম্পানি পিএসি এবং ১ হাজার পুলিশকর্মী পাঠানো হয়েছে সেখানে।গাজিপুর সীমান্তে রাকেশ টিকায়েতের নেতৃত্ব ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের লোকজনের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত চরমে ওঠে। কান্নায় ভেঙে পড়ে রাকেশ জানান, প্রয়োজনে বুলেটের মুখে দাঁড়াবেন তাঁরা। অবস্থান থেকে হটবেন না। গত ২৮ নভেম্বর থেকে তাঁরা সেখানে রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। পরে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
কনকনে হাওয়া আর ভীষণ ঠান্ডার মধ্যেই কৃষকরা শুয়ে আছেন রাস্তায়। তাঁদের কথায় যখন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে তাঁদের বিক্ষোভের অধিকার রয়েছে, তখন তাঁরা রাস্তা খালি করবেন না। এর আগে তিনটি কৃষক সংগঠন আন্দোলন থেকে সরে গেলেও বাকিরা অনড়। দিল্লির অন্য দুটি সীমান্তে টিকপরি এবং সিংঘুতেও ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে জেসিবি মেশিন দিয়ে পুলিশ রাস্তা কেটে দিয়েছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে,সরকার ভয় পেয়েছে। তাদের কাজেই তা পরিষ্কার। আন্দোলনকে বদনাম করার জন্য তারা মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ থাকবে। প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback