কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকরা ট্র্যাক্টর মিছিল করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার তারা জানিয়েছে, এটা আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন। এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। কী করতে হবে তা সুপ্রিম কোর্ট বলে দেবে না। সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছিল, কৃষকদের মিছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করে দিতে পারে। সেটা হবে দেশের লজ্জা। কেন্দ্রে এই মিছিলে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ এব্যাপারে কৃষকদেরও নোটিশ দিতে বলেছিল।   

অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁদের ট্র্যাক্টর মিছিলে অনড় কৃষকরা। দিল্লির সিংঘু সীমান্তে সাংবাদিক বৈঠকে কৃষকদের পক্ষে জানানো হয়েছে, ওইদিন দিল্লির আউটার রিং রোডে তাঁরা ট্র্যাক্টর নিয়ে মিছিল করবেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে তাতে কোনও বিঘ্ন হবে না। কৃষক নেতা রাজেশ সিং টিকায়েত জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যেতে তৈরি। আইন বাতিলের পাশাপাশি তাঁরা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি বৈধতা চান। সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, কৃষকদের মিছিল কুচকাওয়াজে গোলমাল করার জন্যই করা হচ্ছে। 

কৃষকদের আরও ক্ষোভ, তাঁদের আন্দেলনে যাঁরা সমর্থন জোগাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধেই এনআইএ নানারকম মামলা দিচ্ছে। সবকটি কৃষক সংগঠন এর বিরোধিতা করছে। গত ২৬ নভেম্বর থেকে কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, কৃষি আইন পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি মঙ্গলবার প্রথম বৈঠকে বসছে। ওই কমিটির চারজনের একজন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি ভূপিন্দর সিং মান আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন। ১১ জানুয়ারি শীর্ষ আদালত কৃষি আইন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট সোমবারই কৃষি আইন  নিয়ে আবেদনের শুনানি করবে। পাশাপাশি ৪১টি কৃষক সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নয়বার বৈঠক হয়ে গিয়েছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা অনড়। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জেদ ছাড়ার জন্য কৃষকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। ১৯ তারিখের পরবর্তী বৈঠকে কেন্দ্র আইনের ধারা ধরে ধরে আলোচনা করতে চায়। 



Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post