ফের মন্ত্রিসভার বৈঠকে গড়হাজির রাজীব, গেলেন না পার্থর বৈঠকেও

মঙ্গলবারই মন্ত্রিত্ব এবং হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এর কারণ সম্পর্কে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি, এরমধ্যেই এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার এদিনই তাঁর বৈঠকে বসার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। সবমিলিয়ে জল্পনা ও ধোঁয়াশা কাটছে না। এরমধ্যেই আবার লক্ষ্মীরতনের পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালি ডালমিয়া। তাঁর মতে দলের ভিতরে ভিতরে অনেকেই উইপোকার মতো তৃণমূলের ক্ষতি করে চলেছেন। তৃণমূলের কিছু লোকই বিরোধীতা করছেন বলেও তোপ দাগেন বৈশালি। এরমধ্যেই রাজীবের অনুপস্থিতি নতুন করে রক্তচাপ বাড়াতে বাধ্য বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে এটা প্রথম নয়, এর আগেও তিনবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজীব। তবে এর আগে দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর কাজকর্মে দলের প্রতি বিরুপ মনোভাব ফুটে উঠছে। সূত্রের খবর, এদিন শরীর ভালো না থাকার অজুহাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাননি রাজীব। এমনকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপুর্ণ বৈঠকেও যাননি। এই পরিস্থিতিতেই মন্ত্রিত্ব এবং দলের সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লক্ষ্মীরতন। তাঁর সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক রাজীবের। চলতি মাসেই ফের রাজ্য সফরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে কি তাঁর কলকাতা সফরেই তৃণমূলে ফের বড়সড় ভাঙন ঘটতে চলেছে? লক্ষ্মী কেন তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন? এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি ঠিকই, কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠ বৈশালি তুলে ধরলেন সেই দলীয় কোন্দলের কথাই। বৈশালি বলেন, দল ছাড়লেই অনেকে বেইমান বলতে শুরু করবে। কিন্তু যাঁরা ভিতরে ভিতরে উইপোকার মতো দলকে নষ্ট করেছেন, তাঁরা কি বেইমান নয়? এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হাওড়ার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সামনেই বিধানসভা ভোট, এর আগে উপরতলায় কোন্দল বিজেপিকেই সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছেন অনেকে।


 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post