সংযত, সংক্ষিপ্ত প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড দিল্লিতে

দেশের ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস এবার করোনা অতিমারীর জন্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত, সংক্ষিপ্ত। দিল্লির রাজপথে পারম্পরিক কুচকাওয়াজে এবার উচ্ছ্বাস ছিল, তবে তা ছিল অন্যবারের তুলনায় কম। ছোট করা হয়েছে কুচকাওয়াজের বহর। রেড ফোর্টের বদলে এবার তা শেষ হচ্ছে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। কাটছাঁট হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাতেও। কমানো হয়েছে কুচকাওয়াজের পথের দূরত্বও। দর্শক কম, তাদের বসানোও হয়েছে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনেই। 

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মাথায় এদিন ছিল গুজরাতের জামনগরের বিশেষ পাগড়ি। সৌরাষ্ট্রের জামনগরের রাজপরিবার প্রথন মোদিকে এই পাগড়ি উপহার দেয়। সকালে ইন্ডিয়া গেটে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আসেন মঞ্চে। এর আগে ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতিতেই শ্রদ্ধা জানাতেন প্রধানমন্ত্রীরা। রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও অন্য বিশেষ অতিথিরা। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এবারের প্যারডে পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অতি বিশিষ্ট সেবাপদক প্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিজয়কুমার মিশ্র। তাঁর সহকারী মেজর জেনারেল অলোক কাকের। মহিলাদের মধ্যে একমাত্র কম্যান্ডের দায়িত্বে ছিলেন এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন প্রীতি চৌধুরী। 

এই প্রথম প্যারেডে অংশ নিল লাদাখের ট্যাবলে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও এই প্রথম রাজপথে হাঁটলেন। তবে উত্তরপ্রদেশের রামমন্দির ট্যাবলো আসতেই অনেক দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। পাঞ্জাবের ট্যাবলোয় ছিল গুরু তেগবাহাদুরের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে গুরদ্বারা। গুজরাতের ট্যাবলোয় ছিল মোথারার সূর্য মন্দির। রাফাল বিমানের উড়ান দিয়ে প্যারেড শেষ হয়।



Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post