বেসুরো-দের ‘তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি’ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান শুভেন্দুর

রাজ্য রাজনীতি এখন তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভের জল্পনায় উত্তাল। একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদ দল ছাড়ছেন। বা দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুলে বেসুরো গাইছেন। এবার তাঁদেরই সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, রাজীব, প্রবীর দুজনেই বেসুরো বলে শুনছি, ওদের বলছি তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি' ছেড়ে বিজেপিতে আসুন। চন্দননগরের মাটিতে দাঁড়িয়েই এদিন এখানকার তৃণমূল বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে তীব্র আক্রামণ করেন। তিনি বলেন, ‘এখানকার যিনি ছিন্নমূল বিধায়ক আছেন, গায়ক-গায়িকাদের কাছ থেকে কাটমানি নেন’। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘জলের আকার, বাটিতে বাটি, ঘটিতে ঘটি, এখানকার বিধায়ক হচ্ছে তাই। যখন যে দল ক্ষমতায়, তখন তার সঙ্গে থাকেন’। 

এদিন চন্দননগরের জনসভায় তিনি তৃণমূল নেত্রীকেও ছাড়েননি। প্রাক্তন দলনেত্রীর উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে গিয়ে বলছেন, নন্দীগ্রাম আমার মেজ বোন। তারপরে বলছেন ভবানীপুর আমার বড় বোন। মাথা কাজ করছে না, কোনও হিসেব মিলছে না। এরপর ঝাড়গ্রামে গিয়ে বলবেন, নেতাই আমার ছোট বোন। কিন্তু লোকসভা ভোটই বুঝিয়ে দিয়েছে আসল ঘটনা। গত লোকসভায় তৃণমূল সিঙ্গুর ও নেতাই থেকে হেরেছে। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে আমি জিতেছিলাম। এবার নন্দীগ্রামও বিজেপি পাবে। হুগলি লোকসভা আসনে জিতেছে বিজেপি, কিন্তু জেলার আরেকটি আসন আরামবাগে জিতেছিল তৃণমূল। কিভাবে জিতেছিল শাসকদল এদিন সেটাও ফাঁস করলেন একদা তৃণমূল নেতা। 

শুভেন্দুর দাবি, ডিএম, এসপি ও এসডিও দের দিয়ে ১৬টা ইভিএম গুণতে দেয়নি ওরা। নাহলে ফল উল্টে যেত। এরপরই তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে ফের হুঙ্কার দেন, আমি মাননীয়াকে বলেছি দুটো কেন্দ্রে দাঁড়াতে দেব না। একটাতেই দাঁড়াতে হবে। শুধু নন্দীগ্রামে লড়তে হবে। বিজেপির প্রার্থী যেই হোক, মমতাকে হাফ লাখ ভোটে হারাব। আমি নন্দীগ্রামটা বুঝে নেব। আপনারা চন্দননগরটা বুঝে নিন। এদিন চন্দননগরের রোড শো এবং জনসভায় উপস্থিত ছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post