মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে জনসাধারণ কমিটি, ঝাড়গ্রামে শুভেন্দু

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম ঝাড়গ্রামে পা রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এখানে দাঁড়িয়েই তিন নাম না করে বিঁধলেন ছত্রধর মাহাতোকে। তীব্র আক্রমণ করলেন জনসাধারণ কমিটিকে। বুধবার ঝাড়গ্রামে জনসভা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। আর নিজের ভাষণে প্রথম থেকেই জঙ্গলমহলের নানা সমস্যা তুলে ধরে একহাত নিলেন ছত্রধর মাহাতোর জনসাধারণ কমিটিকে। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ কে? যিনি ১০ বছর জেলে ছিলেন।  আপনাদের মনে নেই? জোর করে মিছিলে হাঁটাতো। জনসাধারণের কমিটি অত্যাচার করেনি? ঝাড়গ্রাম শহরকে ৩৭ দিন বন্ধ রেখেছিল এই কমিটি’। 

এরপর ফের নাম না করে আবার আক্রমণ করেন ছত্রধর মাহাতোকে। ‘ওর সঙ্গে লোকজন নেই। ২০০১ সালেও ‘ঝুড়ি’ চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন উনি। মাত্র সাড়ে ১৫ হাজার  ভোট পেয়েছিল সেবার। একদম ভয়  পাবেন না’। এমনকি ছত্রধরের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগও তোলেন তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারি টাকায় দোতালা পাকা বাড়ি করেছে। ঘরে সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে নিয়েছে। একটা ছেলেকে পুলিশের ইনফর্মারের কাজে ঢুকিয়েছে আরেকটাকে আমার ঘাড়ে দিয়েছিল। আমি নবান্নের নির্দেশে ওকে লালগড়ের বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরই শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘আসলে আমি তো তখন কর্মচারী ছিলাম’। ভাষণের শেষে শুভেন্দুর আহ্বান, ‘আজকে আপনাদের জানাই, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী লোকগুলোকে একদম সুযোগ দেবেন না। আদিবাসীদের স্বার্থ যদি কেউ রক্ষা করে থাকে সেটা ভারতীয় জনতা পার্টি করেছে’। 

এদিন ঝাড়গ্রামের সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা কেসের মালা নিয়ে ঘুরছি। আমরা পুলিসকে ভয় পায়নি। আমরা বিরিয়ানি খাই না, আমরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে মুড়ি খাই, খিচুড়ি খাই। এরপরই তিনি বলেন, ২০০ আসন নিয়ে আমরা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গড়ব। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই আপনারা পদ্ময়ফুলে ভোট দিন। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post