সবংয়ের সভা থেকে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিজেপির সভায় তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে বলতে দিয়ে তৃণমূলকে ‘ফুটো নৌকো’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, নৌকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে তা বুঝতে পেরেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এদিন তৃণমূল সরকারকে 'প্রতারক’ বলেও তোপ দাগেন তিনি।
এদিন বক্তৃতার শুরু থেকেই রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর শাসকদলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। সবংয়ের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, প্রতিনিয়ত বিজেপি কর্মীদের উপর যে হামলা হচ্ছে তার ওষুধ তাঁর জানা রয়েছে। এবার পালটা হামলারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এরপর হামলা, আক্রমণ হলে তাঁকে জানানোর জন্যও দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন এই নব্য বিজেপি নেতা। একইসঙ্গে সুষ্ঠুভাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। দলত্যাগ করার পরই তাঁকে মীরজাফর বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের একাধিক শীর্ষনেতা। এদিন ফের তাঁদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল নেতারা বলছে শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কিন্তু যে দলের নেত্রী ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে আলাদা দল গঠন করেছিলেন, তাদের মুখে এখন শুনতে হবে বিশ্বাস ঘাতক। তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় দিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আডবানি। পরে বিজেপির হাত ছেড়ে তৃণমূল আবার কংগ্রেসের হাত ধরেছিল। এদের থেকে সার্টিফিকেট দরকার নেই। রাজনাথ সিং না আসলে তাঁর অনশন ভাঙতেন কে। যে অতীত ভুলে যায় তাঁর ভবিষ্যত ভালো হতে পারে না।
Thank You for your important feedback