একঢাল লম্বা ঘন চুল কার না ভালো লাগে। কিন্তু আজকের ব্যস্ত সময়ে ঠিকভাবে চুলের যত্ন হয়ত অনেকেই করতে পারেননা। সঙ্গে আবার দূষণ আর জলে আয়রনের সমস্যা। তাই চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। পাতলা চুলের যত্নও নিতে হয় অনেক বেশি। একটু বেখেয়াল হলেই চুল পড়ে গিয়ে চুল আরও পাতলা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই চুল কীভাবে ঘন দেখানো যায় তা নিয়েই চলে যত চিন্তা। আসুন জেনে নেওয়া যাক পাতলা চুল কীভাবে ঘন করা যায় তারই কয়েকটি ঘরোয়া ও চটজলদি উপায়।....
হট অয়েল দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ
চুলের যত্নে তেলের ভূমিকা অপরিহার্য। চুল এবং স্ক্যাল্পের প্রয়োজনীয় পুষ্টি একমাত্র প্রাকৃতিক তেলেই পাওয়া যায়। তাই চুল ভাল রাখতে সপ্তাহে অন্তত একদিন হট অয়েল থেরাপির প্রয়োজন। অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল বা অতি পরিচিত নারকেল তেল সামান্য গরম করে তা ভাল করে স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় মাখুন। স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে চুলের বৃদ্ধি ভাল হয় আর চুল ঘনও হয়। তবে বেশি তেল মাখবেন না, এতে বরং চুলের ক্ষতি হয়।
পেঁয়াজের রস
চুল ঘন করার জন্য পেঁয়াজের রস অত্যন্ত উপকারী। এটি চুলের পড়ে যাওয়া রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। একটি পেঁয়াজকে পাতলা টুকরো টুকরো করে কেটে রস বের করে নেবেন। এরপর সেই রস ১০ মিনিটের জন্য আপনার চুলে লাগান এবং ধুয়ে ফেলুন।
ডিম
ডিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ বস্তু এবং প্রায়শই ভাল স্বাস্থ্যের জন্য এটি সুপারিশ করা হয়। ডিমের পুষ্টিগুণ চুলের ঘনত্ব বাড়াতেও সাহায্য করে। আপনি সরাসরি চুলে এটি প্রয়োগ করতে পারেন। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পামকিন সিড অয়েল
এই তেলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং অ্যামিনো ফ্যাট রয়েছে যা আপনার চুল দীর্ঘ এবং ঘন করে তোলে। এটি মাথার স্ক্যাল্পকে ময়শ্চারাইজ করে এবং আপনার চুলে খুব প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এর অন্যতম গুণ এটি চুল পড়া রোধ করে।
প্রাকৃতিক উপাদানের হেয়ার মাস্ক
চুল পড়ার মত সমস্যাও সমাধান করতে জুড়ি নেই প্রাকৃতিক উপাদানের হেয়ার মাস্কের। ক্যাস্টর অয়েল, অ্যালোভেরা জেল, নারকেল তেলের মতো বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে আপনি হেয়ার মাস্কে ব্যবহার করুন। এইসব উপাদানে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। এই মাস্ক আধঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করলেই কেল্লাফতে।
Thank You for your important feedback