নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চলেছেন মমতা, ঘোষণা সভামঞ্চ থেকেই

নন্দীগ্রাম তাঁর মনের খুব কাছে। তাই তিনি চান আগামী নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেই  লড়তে। সোমবার তেখালির মমতা বলেন. যেভাবে আপনারা আন্দোলন করেছিলেন, তার কোনও তুলনা হয় না। নন্দীগ্রাম আমার কাছে পয়মন্ত। ২০১৬ বিধানসভার আগে আমি ঘোষণা করেছিলাম তৃণমূল জিতবে। ২০২১ সালেও তৃণমূলে জিতবে। নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চান তিনি। মঞ্চে বসা দলের সভাপতি সুব্রত বক্সিকে তিনি তাঁর এই আর্জি জানান। সুব্রতবাবু বলেন, মমতার আবেদন গ্রহণ করা হল। মমতা বলেন, ভবানীপুরকে আমি দেখব। ভালো প্রার্থী দেব সেখানেও।

এদিন নন্দীগ্রামে সভার আগেই ১০ শহিদ পরিবারের হাতে ৪ লাখ টাকার চেক তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আমি রোজই যাই। আমার মনে নন্দীগ্রাম রোজই থাকে’। এরপরই হেলিকপ্টারে নন্দীগ্রামে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় নিখোঁজ দশজনের পরিবারের হাতে ৪ লাখ টাকা করে সরকারি সাহায্য তুলে দিলেন। এদিন সাহায্য পেয়েছেন বিশ্বজিৎ সিং, শুভঙ্কর মাইতি, প্রতিমা মাইতি, সুদেব মণ্ডল, সুমিত্রা মিদ্যা, তপন মাইতি, রবি মণ্ডল, রাহুল বর্মন প্রমুখদের পরিবার।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের এই মঞ্চ সরকারি মঞ্চ, এই মঞ্চ থেকেই সরকারি সাহায্য তুলে দেওয়া হল। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ১৪ জন শহিদ হয়েছিলেন। এরমধ্যে আজও ১০ জন ফিরে আসেননি। আজকের মঞ্চ থেকে ওই পরিবারের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দিলাম, মন্তব্য মমতার। এদিন নন্দীগ্রামের জনসভায় অধিকারী পরিবারের কেউ না থাকলেও মঞ্চে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে। মঞ্চে উপস্থিত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। 

পরে তেখালির জনসভা থেকে তিনি তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলের নেতাদের। তিনি বলেন, ‘অনেকে বড় বড় কথা বলে, সিঙ্গুর থেকে আন্দোলন শুরু হয়। তাপসী মালিকে অত্যাচার করে হত্যা করা হল। ১৪ মার্চ গুলি চলেছে। আমি আন্দোলন করেছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকারও সেটা বলতে বাধ্য হয়েছিল। ১৪ মার্চ ২৬দিন অনশন করেছিলাম। সেই সময় আমার শরীর খারাপ হয়। আমি ডাক্তারদের কাছে গিয়েছিলাম, তখন শুনলাম গুলি চলছে। আমার গাড়ি ঘিরে ধরে পেট্রোল বোমা আমাকে জ্বালিয়ে দিত চেয়েছিল’। নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়েও তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন। মমতার কথায়, আমি কারও কাছে জ্ঞান নেব না। কে নন্দীগ্রাম আন্দোলন করেছে। সেইসব দিন আমরা দেখেছি। কীভাবে জ্যান্ত মানুষগুলোকে হত্যা করা হল। নন্দীগ্রামের আত্মিক টান ছিল-আছে থাকবে। ভুলতে পারি নিজের নাম। ভুলব না নন্দীগ্রাম। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post