দু’দিনের সংক্ষিপ্ত অধিবেশন, বুধবার শোকপ্রস্তাবের পর মুলতুবি হল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। বৃহস্পতিবার বসবে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের দিকেই তাঁকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল। কারণ বর্তমানে তৃণমূলের বিদ্রোহী বিধায়করা কী করেন সেটা দেখার জন্যই মুখিয়ে আম জনতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রথমদিনের অধিবেশনের পর দেখা গেল গডরহাজির অধিকাংশ বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক। বুধবার রাজ্য বিধানসভা মুখো হননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, লক্ষ্ণীরতন শুক্লা, প্রবীর ঘোষালের মতো বিধায়করা। এই চার বিধায়ক না এলেও অবশ্য বুধবার তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূল বিধায়ক দুলালচন্দ্র বর এবং মিহির গোস্বামী বিধানসভায় হাজির ছিলেন।
রাজ্য রাজনীতিতে এখন দলবদলের পালা চলছে। তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের মধ্যে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী, দুলাল বর প্রমুখ। আবার কেউ কেউ নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট না করলেও বেশ কয়েকদিন ধরে বেসুরো গাইছেন। এরমধ্যে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্ণীরতন শুক্লা ইতিমধ্যেই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। হুগলি উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল হুগলি জেলার তৃণমূল মুখপাত্র ও কোর কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করেছেন। হাওড়া বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে তৃণমূল বহিষ্কার করেছে। ফলে এই বিদ্রোহী বিধায়কদের গড়হাজিরা ফের জল্পনা তীব্র হচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য তৃণমূল বিধায়কদের হাজিরা বাধ্যতামূলক করে হুইপ জারি করে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এই সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়কদের ফোন বা এসএমএস করে হাজির থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছে শাসকদল। এখন দেখার বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তাঁরা বিধানসভায় পা রাখেন কিনা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback