মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি পদত্যাগ করছেন, এই প্রশ্নে আমেরিকা তোলপাড় হলেও তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, এমন কোনও ভাবনা নেই। কারণ পদত্যাগ করলে তা দোষ স্বীকার করা হবে। ট্রাম্প সেই বান্দাই নন। এর আগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন রিচার্ড নিক্সন। ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, ২০ তারিখে বাইডেনের শপথের আগের দিনই ট্রাম্প চলে যাবেন তাঁর মার-আ-লাগোর বাড়িতে। সেখান কয়েক দিন চুপচাপই থাকবেন তিনি।
অন্যদিকে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টে সম্মতি দিলেন না ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। মঙ্গলবারই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্পকে হটাতে মার্কিন সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনী প্রয়োগে তিনি রাজি নন। একমাত্র প্রেসিডেন্ট কাজ চালাতে অক্ষম হলেই ওই ধারা প্রয়োগ করা যায়। ট্রাম্পও এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মাইক পেন্স সংশোধনী প্রয়োগে অরাজি হলেও বুধবার হাউসের ডেমোক্রাট সদস্যরা ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটাভুটি করতে পারে। ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের একাংশও।
৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পর হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও ডেমোক্রাট সদস্যরা ট্রাম্পকে সরানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, ট্রাম্প সমর্থকরা বাইডেনের শপথগ্রহণ নির্বিঘ্ন হতে দেবে না। অন্যদিকে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সতর্কবার্তা, ইমপিচমেন্টের গুজব দেশের ইতিহাসে খারাপ অসুখ। বেশিরভাগ লোকই এটা বুঝবে না। এটা আমেরিকার পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে এই সময়ে।
Thank You for your important feedback