লাগাতার ৩ দিনের ধর্মঘট, বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে রফা হল না

পরপর তিনদিন লাগাতার রাজ্য জুড়ে বাস ধর্মঘট। এদিকে সপ্তাহের কাজের দিন হওয়ায় ভোগান্তির আশঙ্কাও করছেন নিত্যযাত্রীরা। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এবার নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যসরকার। রবিবার বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছিল রাজ্য পরিবহন দফতর। রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেও কাটল না জট।  ২৮ তারিখের আগে আরও একদফা বৈঠক হতে পারে। এখনও ধর্মঘটের দাবিতে তারা অনড় রয়েছে। 

উল্লেখ্য, ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে আগামী ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাসমালিক সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি ছিল, লাগামছাড়াভাবে ডিজেলের দাম বাড়ছে। উপরন্তু লকডাউনের পর থেকে যাত্রী কম থাকায় বেড়ে চলেছে লোকসানের বোঝা। বারবার রাজ্য সরকারের কাছে ভাড়াবৃদ্ধির আবেদন করলেও সুরাহা মেলেনি। কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে ডিজেলের মূল্যে জিএসটি বসাতে হবে ও রাজ্যকে ভাড়াবৃদ্ধির ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হবেন তাঁরা। তার আগে এই প্রতীকী ধর্মঘট।

এরপরই বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে সমস্যা মেটাতে চাইছে রাজ্য।এদিনের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মোট পাঁচটি বাস মালিক সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বিকেল তিনটে থেকে রাজ্য পরিবহণ নিগমের ময়দান তাঁবুতে হয় বৈঠক।  প্রসঙ্গত, পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে শুভেন্দু পদত্যাগ করার পর দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে কিছুটা হলেও আপাতত অভিভাবকহীন পরিবহন দফতর। যদিও বাস সমস্যা মেটাতে একটি কমিটি গঠন করে সেই কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে। তিনিও কয়েকটি বৈঠক করেছেন বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে। কিন্তু সমাধান অধরাই। এদিনের বৈঠকের পর কোনও রফাসূত্র মেলে কিনা সেই অপেক্ষাতেই বাস মালিক ও সাধারণ মানুষ।             

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post