আরও সহজ হবে চারধাম যাত্রা, চালু হল নতুন যোগ নগরী ঋষিকেশ স্টেশন

নতুন যোগ নগরী ঋষিকেশ স্টেশনের উদ্বোধনের পর ট্রেনে চেপে চারধাম যাত্রার স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল হল। সম্প্রতি যোগ নগরী ঋষিকেশ স্টেশন চালু করে দিল পীযুষ গয়ালের ভারতীয় রেল। এই রেল স্টেশনটি উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অন্তর্গত। এখান থেকেই শুরু হচ্ছে ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ নতুন রেল রুট। যা ভারতের পবিত্র তীর্থ যাত্রা চারধাম যাত্রাকে সুগম করবে। নতুন যোগ নগরী ঋষিকেশ স্টেশনটি ভারতীয় রেলের গুরুত্বপূর্ণ চারধাম প্রকল্পের আওতায় পড়ছে। স্টেশনটি বিভিন্ন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত। যেমন যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই নতুন স্টেশনে লিফট, এসকেলটর, র‍্যাম্প সহ অন্যান্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। 

ভারতীয় রেলের আধিকারীকদের মতে, নতুন এই রেল প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে। উত্তর রেলওয়ের আধিকারীকদের মতে, এই যোগ নগরী ঋষিকেশ স্টেশনটি ১২৫ কিলোমিটার ব্যাপি ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেল লাইনের প্রথম স্টেশন। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রকল্প কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায় এই প্রকল্প হিমালয়ের এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। ভারতীয় গণপরিবহণ সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের মতে, এই নতুন রেল লাইন চারধাম যাত্রার সময় অর্ধেক করে দেবে। 

নতুন এই রেল লাইনটি দেরাদুন, হরিদ্বার, শ্রীনগর, কর্ণপ্রয়াগ, দেবপ্রয়াগ, পৌঢ়ি গাড়ওয়াল, রুদ্রপ্রয়াগ, তেহরি গাড়ওয়াল এবং চামোলির মধ্যে সংযোগ রক্ষা করবে। যা বহু পর্যটন কেন্দ্র এবং তীর্থস্থানের মধ্যে দিয়ে যাবে। ভারতীয় রেলের এই উচ্চাভিলাষী রেল প্রকল্পটিতে মোট ১২টি স্টেশন থাকছে। পাশাপাশি ১৭টি টানেল এবং ১৬টি বড় সেতু থাকবে। এছাড়া অসংখ্য ছোট-মাঝারি সেতুও তৈরি হচ্ছে রেল লাইন পাততে। 

একবার এই রেলপথ তৈরি হয়ে গেলে এই অঞ্চলের বাণিজ্য, পর্যটন সহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এই রেলপথ উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পাঁচটি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই রেলপথটি সম্পূর্ণ করার টার্গেট রেখেছে রেলমন্ত্রক। পুরো প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৬,২১৬ কোটি টাকা।  


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post