শুক্রবার রাতেই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শনিবার সকালেই তিনি পৌঁছে যান মালদায়। এদিন সকাল এগারোটার পর তাঁর হেলিকপ্টার মালদার মাটিতে নামে। এরপর সড়কপথে তিনি যান মালদার কেন্দ্রীয় ম্যাঙ্গো রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। সেখানে ঘুরে দেখার পর তিনি পৌঁছে যান সাহাপুরে। এখানেই তিনি কৃষকদের সঙ্গে গণভোজে অংশ নেবেন। তার আগে ছোট্ট ভাষণে ফের তোপ দাগলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ছেড়ে কথা বলেন নি তৃণমূল নেত্রী এবং যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিন সাহাপুরের কৃষকসভা থেকে জেপি নাড্ডা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেদ, ইগো ও অভিমানের জন্য রাজ্যের কৃষকরা প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উনি এই কারণেই মোদির কৃষক সম্মান নিধিকে বাংলায় জায়গা দিচ্ছেন না। এরফলে বাংলার ৭০ লাখ কৃষক বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের অসম্মান করছেন মমতাদিদি। অথচ এই রাজ্যে যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই দেখছি পিসি-ভাইপোর হাতজোড় করা ছবি ও পোস্টার।
এরপরই কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, মমতাজি আপনাকেই নমস্কার জানানোর সময় হয়েছে। এরপরই তিনি রীতিমতো তথ্য দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বাংলার ৩৫ হাজার গ্রামে কৃষক সহায়ক কর্মসূচি নিয়ে আমরা পৌঁছে গিয়েছি। ৩৩ হাজার গ্রামসভায় আমরা কৃষক সহায়ক সভা করে ফেলেছি। ইতিমধ্যেই ৩৫ লাখ কৃষক আমাদের সঙ্গে জুড়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ৪০ হাজার গ্রামে পৌঁছানো, যা আগামী কয়েকদিনেই হয়ে যাবে।
বাংলায় কৃষকদের জন্য অবিচার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ২৫ লাখ কৃষক প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি আবেদন জানানোর পর ভোল পালটেছেন। যদিও ভোট এসে গিয়েছে, এখন আর আফশোস করে লাভ নেই। এরপরই তিনি কৃষকদের সঙ্গে সহভোজে যোগ দেন। রীতিমতো মাটিতে বাবু হয়ে বসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কৃষকদের সঙ্গে বসেই খেলেন খিচুড়ি, পালং শাকের তরকারি এবং চাটনি। খাওয়া শেষে তিনি রওনা দিয়েছেন পরবর্তী রোড শো করতে।
Thank You for your important feedback