একুশের বিধানসভা প্রচারের প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ চলছে রবিবার। কানায় কানায় পূর্ণ ব্রিগেড ময়দান। সিপিএমের লাল, কংগ্রেসের তিরঙ্গা এবং আব্বাসের দলের নীল-সবুজ পতাকায় ছয়লাপ ব্রিগেড। বামফ্রন্টের ডাকা ব্রিগেডে আমন্ত্রিত জোটসঙ্গী প্রদেশ কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন রাজনৈতিক দল আইএসএফ। এদিন বিভিন্ন বক্তা জোটের যথার্থতা বোঝাতে নানান যুক্তি যেমন দিয়েছেন, তেমনই রাজ্যের তৃণমূল সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও আক্রমণ করেন। ব্রিগেডে জনসমুদ্র দেখে উচ্ছ্বসিত বাম নেতারা রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। তেমনই কংগ্রেস নেতারা ভাষণে বেশি ব্যস্ত থাকলেন নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে আক্রমণ করতে।
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি যেমন বলেই দিলেন, বাংলায় পরিবর্তন আনবে এই সংযুক্ত মোর্চা। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই রাজ্যে সারদা-নারদ কেলেঙ্কারি দেখেছে সবাই, বিজেপি ও তৃণমূল একই। তাই পরিবর্তন আনা জরুরী। সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও প্রায় একই সুরে বললেন, মুখ্যমন্ত্রী এমন করেছেন পুরো দলটাই বিজেপি হয়ে গিয়েছে। তাই এই জোট দরকার। শেষ কথা বলবে মানুষের ঐক্য, দাবি সূর্যকান্তবাবুর। তিনি আরও বলেন, মানুষই ঠিক করে দেবে কী হবে, কেমন সরকার চাই। তবে তিনি বাম কর্মী ও নেতৃত্বকে এটাও মনে করিয়ে দেন, মানুষ কিছু বললে তা মাথা পেতে নিতে হবে। আমাদের কথা নয়, মানুষের সঙ্গে কথা হবে আবার আমাদের কথা সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘যাঁরা বলেন
বামেদের দূরবিন দিয়ে দেখতে হয়, তাঁরা আজকের সমাবেশের খবর নিন’। এদিনের
কানায় কানায় পূর্ণ ব্রিগেড গ্রাউন্ড দেখে উচ্ছ্বসিত বিমান বসু জানিয়ে
দিয়েছেন, এই সমাবেশের পর এক দিকে থাকবে বিজেপি-তৃণমূল। অন্য দিকে থাকব আমরা
সবাই (সংযুক্ত মোর্চা)। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য
তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলকেই আক্রমণ করেন। তিনি বিজেপিকে ‘ভারতীয়
ঝঞ্ঝাটিয়া পার্টি’ বলে কটাক্ষ করেন। আবার তৃণমূলকে ‘স্বৈরাচারী’ বলেও তোপ
দাগেন।
Thank You for your important feedback