‘আত্মনির্ভর ভারত’, আকাশপথে যুদ্ধের জন্য HAL তৈরি করল অত্যাধুনিক ড্রোন

এই ধরনের প্রযুক্তি এতদিন ছিল আমেরিকা, রাশিয়া,  চিন, ইজরায়েলের মতো গুটিকয়েক দেশের হাতে। এবার হিন্দুস্তান অ্যারনেটিক্স লিমিটেড (Hindustan Aeronautics Limited) বা হ্যালের হাত ধরে ভারতও হয়ে উঠল ‘আত্মনির্ভর’। HAL তৈরি করল এক অত্যাধুনিক ড্রোন, নাম ‘ইনফিনিটি’ (Infinity)। যা আকাশপথের যুদ্ধে ব্রক্ষ্মাস্ত্র হিসেবেই দেখছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

 কী এই প্রযুক্তি ?

আলফা-এস বা এয়ার লঞ্চড ফ্লেক্সিবল আসেট (সোয়ারম) প্রকল্পের অধীনে এই ড্রোন তৈরি করেছে HAL-এর ইঞ্জিনিয়াররা। এই ড্রোনের ব্যাপারে নকশা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করেছে বেঙ্গালুরুর ‘নিওস্পেস রিসার্চ এন্ড টেকনোলজিস’। হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিক্স লিমিটেড তাঁদের ‘কমব্যাট এয়ার টিমিং প্রোগ্রামের অধীনেই এই নতুন যুদ্ধাস্ত্র ড্রোন ‘ইনফিনিটি’ তৈরি করে সাড়া জাগিয়ে দিল। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে দিল দেশকে। 


কীভাবে কাজ করবে ইনফিনিটি ?


প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে যত চালকবিহীন বিমান (Unnamed arial vehicle)  বা ড্রোন তৈরি হয়েছে, এই ‘ইনফিনিটি’ তাদের সবকটিকেই টেক্কা দেবে। মূলত সৌরশক্তিতেই চলবে ‘ইনফিনিটি’। ফলে দীর্ঘদিন আকাশে ওড়ার ক্ষমতা রাখে এই ড্রোনটি। HAL সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম, একটানা ৯০ দিন পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারে। উড়তে পারে ৬৫ হাজার ফুট উচ্চতায়, এবং ঘন্টায় গতি ১০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে অনায়াসে তাঁদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে আসবে ‘ইনফিনিটি’ ড্রোন। এছাড়াও ভারতের ‘ইনফিনিটি’ শত্রু দেশের যেকোনও যুদ্ধবিমান বা সশস্ত্র ড্রোনকেও নির্ভুল নিশানায় ধ্বংস করতে সক্ষম। ফলে এককথায় একে  ব্রক্ষ্মাস্ত্র বলতে কোনও বাধা নেই।

প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরাও এই অত্যাধুনিক এবং কার্যকরী ড্রোনটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত। কারণ, প্রযুক্তি, উৎকর্ষতা ও কার্যকারিতায় হ্যালের তৈরি ইনফিনিটি ড্রোনটি চিন ও পাকিস্তানকেও টেক্কা দেবে। তাঁদের আশা অচিরেই এটি ভারতীয় বায়ুসেনা ও স্থলসেনার মূল হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post