উত্তরাখণ্ডে মৃত বেড়ে ৩২, তুষারঝড়ে এখনও নিখোঁজ ১৯৭

উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে উদ্ধার হল আরও ৫টি দেহ। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। এই মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ পুলিশকর্মীও। আরও ১৯৭ জন নিখোঁজ। তুষারধসের পর যোশীমঠের রেইনি গ্রামে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাথর, মাটি সরিয়ে তপোবনে এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আটকে পড়া ৩০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করার কাজ এখনও চলছে। সেখানে বিরাট পাথরের চাঁই সুড়ঙ্গটিকে রুদ্ধ করে রেখেছে। ড্রোন উড়িয়ে উপর থেকে দেখা হচ্ছে ভিতরে যাওয়ার কোনও পথ রয়েছে কিনা। সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা সুড়ঙ্গের ১৩০ মিটার পর্যন্ত ঢুকতে পেরেছেন। স্থানীয়দের দাবি, আরও উন্নত যন্ত্র এনে উদ্ধারের কাজ করা উচিত ছিল। 

তবে মঙ্গলবার ভারী যন্ত্রপাতি এনে রেইনির টানেলে উদ্ধারে জোর দেওয়া হয়েছে। গ্রামে আটকে পড়া বাসিন্দাদের জন্য ঋষিগঙ্গা নদীর ওপর দড়ির ট্রলি লাগানোকর কজা শেষ করেছে। এতে তাড়াতাড়ি ত্রাণ পৌছনো যাচ্ছে সেখানে। বানের তোড়ে সেখানকার তিনটি পায়ে চলা সেতু ও একটি গাড়ি যাওয়ার ব্রিজ ধুয়ে গিয়েছে। এখন হেলিকপ্টারেও খাবার পৌঁছনো হচ্ছে। ১৫০ জনকে সেখান থেকে কপ্টারে চাপিয়েই সরিয়ে আনা গিয়েছে। এনটিপিসির ৪৮০ মেগাওয়াটের ও ঋষিগঙ্গার ১৩.২ মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.